Thank you for trying Sticky AMP!!

মনে হয়নি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি, বলছেন আল আমিন

৩ বছর পর ফিরেছেন আল আমিন। প্রথম আলো, ফাইল ছবি

কদিন আগে আল আমিন হোসেন ফিটনেস ট্রেনিং শেষে জানতে চাইলেন, বাংলাদেশ দল কবে ভারত সফরে যাবে? তিন বছর তিনি জাতীয় দলের বাইরে। এবার কি স্কোয়াডে নেবে—প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করার সাহস হয় না আল আমিনের! তবে উজ্জ্বল হাসিতে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, ‘ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট কার?’

উত্তরটা চট করে দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। আল আমিনও বলতে চান না। রহস্যের হাসিতে শুধু বলেন, ‘ঘেঁটেই দেখেন।’ ভারতের বিপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে যৌথভাবে আছেন আল আমিন আর রুবেল হোসেন। আল আমিন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতেই। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর কোনো ম্যাচ না খেলা এই পেসারকে ফেরানোর পেছনে কাজ করেছে অভিজ্ঞতা, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স, কিছুটা আন অর্থোডক্স পেসার, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ভালো পরিসংখ্যান আর ফিটনেস।

বাংলাদেশ দলের এই এক পেসার আল আমিনকে চোট খুব কমই ভুগিয়েছে। জাতীয় দলে যে তিনটি বছর টানা খেলেছেন চোটের কারণে তাঁকে একটি ম্যাচও হাতছাড়া করতে হয়নি। আল আমিনকে নেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন তাই বললেন, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সে ভালো করেছে। ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফিটনেস তার।’

আল আমিনের মতো আরাফাত সানিও সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ভারতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনে নিষিদ্ধ হওয়ার পর আর ফেরা হয়নি তাঁর। জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে ৭ উইকেট নেওয়া সানি ভালো করেছেন গত বিপিএলেও। শুধু নিজের পারফরম্যান্সই নয়, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম ভালো না করায় টি-টোয়েন্টিতে আবার সানিতে ফিরতে হচ্ছে বলে জানালেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘আমরা এখানে তার অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দিয়েছি। অপু (নাজমুল) ভালো করেনি। তাইজুলকে শুধুই টেস্টে চিন্তা করছি।’

লম্বা বিরতিতে দলে ফিরেছেন, স্বাভাবিকভাবেই খুশি আল আমিন। জাতীয় লিগ খেলতে এখন খুলনায় থাকা ২৯ বছর বয়সী পেসার জানালেন, ফিরে আসতে তাঁকে বিশেষ অনুপ্রাণিত করেছে নির্বাচক হাবিবুলেরই একটি কথা, ‘৬-৭ মাস আগের কথা, একাডেমিতে অনুশীলন করছিলাম। আমাকে দেখে বললেন, দেখ টি-টোয়েন্টিতে তুই আমাদের অভিজ্ঞ বোলার। ফিটনেস ধরে রাখিস। ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করিস। বোলিং নিয়ে চেষ্টা করবি সব সময়ই। যেকোনো সময় তোর সুযোগ আসতে পারে। সুযোগ আসলে যেন ভালো করতে পারিস। তার কথায় একটু বিশ্বাস ছিল একটা সময় সুযোগ আসবেই। কখনো মনে হয়নি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি বা আর কখনো সুযোগ পাব না।’