Thank you for trying Sticky AMP!!

মাকে উৎসর্গ করলেন আবু জায়েদ

মা ও ভাইয়ের সঙ্গে আবু জায়েদ (বামে)। ছবি: সংগৃহীত
>আবু জায়েদ বিশ্বকাপ ২০১৯ দলে থাকবেন কি থাকবেন না, ভীষণ টেনশনেই ছিল তাঁর পরিবার, বিশেষ করে মা। মায়ের টেনশন আপাতত দূর হয়েছে। আবু জায়েদ কাল তাঁর পারফরম্যান্স উৎসর্গ করেছেন মাকেই।

মুঠোফোনে মায়ের সঙ্গে কোনো ছবি আছে কি না, জানতে চাইলে একটু যেন বিপাকেই পড়লেন। ‘মায়ের কাছে থাকতে পারি কোথায়, সারা বছর তো খেলা নিয়েই থাকতে হয়’—আবু জায়েদের রসিকতা। মুঠোফোনে ছবি না থাকতে পারে, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগে কোনো ঘাটতি নেই তাঁর। প্রায় প্রতিদিনই কথা হয় মায়ের সঙ্গে।

বিশ্বকাপ দলে থাকা না–থাকা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, ভীষণ বিচলিতই হয়ে পড়েছিলেন আবু জায়েদের মা সৈয়দা ফাতেমা খানম। ছেলেকে অবশ্য মা অনুপ্রাণিত করেছেন এই বলে, ‘তুমি তোমার মতো খেলে যাও, অবশ্যই সাফল্য পাবে।’ আবু জায়েদ সাফল্য পেয়েছেন। কাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন। আবু জায়েদ এই অর্জন উৎসর্গ করেছেন তাঁর মাকে, ‘পারফরম্যান্সটা আমার আম্মুকে উৎসর্গ করতে চাই। উনি সব সময় আমাকে নিয়ে টেনশন করেন। পরিবারের ছোট ছেলে তো। এই ৫ উইকেট আমার মাকে উৎসর্গ করলাম।’

শুধু মা-ই নন, আবু জায়েদের পুরো পরিবারের টেনশন বেড়ে গিয়েছিল তাঁর বাদ পড়ার গুঞ্জনে। আবু জায়েদ পরিবারকে কীভাবে বুঝিয়েছেন, কাল সাংবাদিকদের সেটিই বললেন, ‘পরিবারের সবাই টেনশন করছিল। ওই খবরটার পরে আসলে পরিবারের লোকজনের দুশ্চিন্তা আমার চেয়ে বেশি ছিল। খবর নিচ্ছিল, কী হচ্ছে না হচ্ছে। এসব খবর এলে পরিবারের লোকজনের দুশ্চিন্তা করাই স্বাভাবিক। আমি বলেছি টেনশন না করতে। বলেছি ইনশা আল্লাহ বিশ্বকাপ দলে থাকব। শুধু দোয়া করো, সুযোগ পেলে যেন ভালো খেলি।’

সিলেটের মীরা বাজারে বেড়ে ওঠা আবু জায়েদ তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট। সবার বড় বোন খালেদা রবিন চৌধুরী ও মেজ ভাই মেহেদী হাসান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে থাকেন। বড় ছেলে আবু খালেদ চৌধুরী সাদি ব্যবসায়ী। বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক চৌধুরী মারা গেছেন ২০০৪ সালে। আবু জায়েদের কাছ থেকে একবার শোনা হয়েছিল তাঁর ক্রিকেটার হওয়ার গল্পটা, ‘সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ যে স্কুলে পড়েছেন, সেই কিশোরীমোহন সরকারি স্কুলে আমিও পড়েছি। আমরা তিন ভাই। আমার মেজ ভাই মেহেদী হাসান সিলেট বিভাগের হয়ে খেলেছেন। বাসার সামনে তাঁকে বোলিং করতে করতে আমার বোলার হওয়া।’