Thank you for trying Sticky AMP!!

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সংশয় আছে, সংশয় নেই!

কদিন ফিটনেস নিয়ে কাজ করছিলেন, আজ ব্যাটিং শুরু করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ছবি: প্রথম আলো
>মাহমুদউল্লাহ ১৫ দিনের বিশ্রামে—এমনটা জানা গিয়েছিল কদিন আগে। বিশ্রামের মধ্যেই আজ ব্যাটিং শুরু করেছেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান

দুপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে ব্যাটিং শেষে ফেরার সময় তাঁর কাছে একজন জানতে চাইলেন, ‘আপনাকে না ১৫ দিনের পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে?’ নিরুত্তর মাহমুদউল্লাহ হেঁটে চললেন ড্রেসিংরুমের দিকে। বিশ্রামের এক সপ্তাহ না যেতেই ব্যাটিং শুরু করেছেন মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপ দুয়ারে। এ সময় ছোটখাটো চোটও সবার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলবে। সেখানে কাঁধের চোট তো গুরুতর। আর খেলোয়াড়টি মাহমুদউল্লাহ বলে দুশ্চিন্তা হওয়াই স্বাভাবিক।

নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পর চোটের অবস্থা বুঝতে এমআরআই করানো হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর ডান কাঁধে। ১ এপ্রিল যে রিপোর্ট পেয়েছিল বিসিবি, তাতে জানা যায়, তাঁর কাঁধের চোটটি ‘গ্রেড-থ্রি টিয়ার’। মানে চোট গুরুতরই। এ কারণেই তাঁকে ১৫ দিনের জন্য পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়ার কথাই শোনা গিয়েছিল। সেই বিশ্রাম শেষ না হতেই ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এটা কি তবে সুখবরই?

বিশ্রামের মধ্যেই মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং করার কারণ বললেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘বিশ্রাম বলতে ঠিক ওভাবে না। সে তার কাজগুলো করছে। হালকা ব্যায়াম করছে। আমরা দেখতে চেয়েছি ব্যাটিংয়ে কোনো অস্বস্তি বোধ করে কি না। কিছু কিছু শটে ব্যথা অনুভব করে। কিছু কিছু শটে ব্যথা হয় না। যে শটে ব্যথা হয় না, সেগুলো আমরা খেলতে বলেছি। এটা ওর পুনর্বাসনেরই অংশ।’

আজ ব্যাটিং অনুশীলনে রক্ষণাত্মক, সোজা ব্যাটেই বেশি খেলতে দেখা গেল মাহমুদউল্লাহকে। এ ধরনের শটে তাঁর ব্যথা খুব একটা অনুভব হয় না। ডিপ মিডউইকেট কিংবা স্কয়ারে যে শটগুলো খেলেন, ব্যথা অনুভব হয় সেগুলোয়। দেবাশীষ বললেন, এ ধরনের শট আপাতত খেলতে মানা করা হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে, ‘স্কয়ারে খেলতে গেলে কাঁধে চাপ পড়ে। ওর বিশ্রাম চলছে। আমরা বলেছি যে শটগুলোয় ব্যথা অনুভব হয় না, সেগুলো মাঝেমধ্যে অনুশীলন করতে। এতে আত্মবিশ্বাসটাও ভালো থাকবে। মাহমুদউল্লাহর চোট নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলার সময়ে এখনো হয়নি। আরও এক সপ্তাহ গেলে হয়তো বুঝতে পারব। মাঝেমধ্যে সে নিজের কাজগুলো করে দেখবে।’

এভাবে যদি চোট পুরোপুরি না সারে, শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে যেতে হতে পারে শল্যবিদের ছুরির নিচে। তাঁর চোটটি অনেকটা মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধের চোটের মতো। মোস্তাফিজ সেরে উঠেছিলেন অস্ত্রোপচার করিয়ে। তবে বিশ্বকাপ এত কাছে, এই সময়ে অস্ত্রোপচার করানো মানেই দলের বাইরে দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়া।