মাহমুদউল্লাহর মনে পড়ছে নিদাহাস ট্রফির কথা
>বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। অভিযানের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা—মাহমুদউল্লাহর স্মৃতিতে ফিরে আসছে নিদাহাস ট্রফি। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও একটি লড়াইয়ের আগে মাহমুদউল্লাহ মনে করিয়ে দিলেন নিদাহাস ট্রফির সেই আনন্দদায়ী স্মৃতি।
১৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। অভিযানের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা—মাহমুদউল্লাহর স্মৃতিতে ফিরে আসছে নিদাহাস ট্রফি। মার্চে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় এই সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে দুবার হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই ছিল রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ভরা। রোমাঞ্চকর একটি ম্যাচের নায়ক আবার মাহমুদউল্লাহ।
ফাইনালে উঠতে হলে ম্যাচটা জিততেই হবে—১৬ মার্চ দুই দলের সামনে ছিল একই সমীকরণ। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে কত ঘটনা যে ঘটল সেদিন প্রেমাদাসায়। পেন্ডুলামের মতো ঝুলতে থাকা ম্যাচ থমকে দাঁড়াল আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রেগেমেগে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনকে চলে আসতে বলেছিলেন মাঠ ছেড়ে। উত্তেজনা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ-রুবেল ফিরে গিয়েছিলেন। ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে ছক্কা মেরে মাহমুদউল্লাহ মিলিয়েছিলেন সমীকরণ।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও একটি লড়াইয়ের আগে মাহমুদউল্লাহ মনে করিয়ে দিলেন নিদাহাস ট্রফির সেই আনন্দদায়ী স্মৃতি, ‘কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের দারুণ কিছু স্মৃতি ছিল। তবে শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী দল এবং তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তাদের হারাতে হলে আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। আমরা দেশে খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি ভালো কিছুই হবে।’
দলীয় লক্ষ্যের কথা তো বলেছেনই। কাল দুবাইয়ে মাহমুদউল্লাহ বললেন ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথাও, ‘ব্যক্তিগতভাবে এশিয়া কাপে কিছু করার চেষ্টা করব। দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে, সেই ভালো লাগা আরও বেড়ে যায় যদি দল জেতে। ব্যাপারটা সহজভাবে দেখতে চাই এবং যতটা সম্ভব ভালো করতে চাই। সত্যি বলতে সব দলই এখন ভালো ক্রিকেট খেলছে। প্রতিটি দলই গুরুত্বপূর্ণ। স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। আর আমাদের ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। এতে করে প্রথম পর্বে ভালো কিছু করতে পারব।’
খেলাটা যেহেতু আরব আমিরাতে, স্বাভাবিকভাবে চলে আসছে কন্ডিশনের কথা। বাংলাদেশ সেখানে তিন দিন অনুশীলন করে ফেলেছে। আবহাওয়া নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ভাবনা হচ্ছে, ‘এই মুহূর্তে এখানকার আবহাওয়ায় আর্দ্রতা অনেক বেশি। তবে একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। কন্ডিশনের ব্যাপারটা ইতিবাচকভাবে নিতে হবে।’
মাহমুদউল্লাহ ঠিকই বলেছেন, খেলতে এসে আবহাওয়া নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। তবে বাংলাদেশকে কিন্তু একটি বিষয় ঠিকই অনুপ্রাণিত করছে। দুবাই-আবুধাবিতে থাকেন অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী। মাহমুদউল্লাহর ধারণা, অনেক বাংলাদেশি সমর্থকদের সমর্থন পাবেন মাঠে, ‘এখানে অনেক বাংলাদেশি থাকে। অনেক সমর্থন পাব বলেই বিশ্বাস। আশা করি তারা মাঠে আসবে, আমাদের সমর্থন করবে এবং তাদের জন্য ভালো কিছু উপহার দেব আশা করি।’
গত মাসে ফ্লোরিডায় দেখা গিয়েছে, প্রবাসীদের সমর্থনে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দল কতটা উজ্জীবিত হয়ে দুর্দান্ত খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মরুর দেশে কেন একই ছবির পুনরাবৃত্তি হবে না?
আরও পড়ুন
-
সবার চোখের সামনে ডুবেছে বেসিক ব্যাংক
-
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী ক্যাম্পাস বিক্ষোভে ১৯০ পরামর্শক গোষ্ঠীর সমর্থন
-
ফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
-
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে ছুরি মেরে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক
-
দ্বিতীয় নারী টি–টোয়েন্টি: ব্যাটিং নিয়েই যত উদ্বেগ–হতাশা