Thank you for trying Sticky AMP!!

মাহমুদুল সেঞ্চুরি করে আজ দলকে জিতিয়েছেন।

মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে ৪-০ ব্যবধানে জিতল ইমার্জিং দল

শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রানের। ক্রিজে থাকা আয়ারল্যান্ড উলভসের দুই ব্যাটসম্যান বেন হোয়াইট ও পিটার চেজের চোখ তখন চার-ছক্কায়। কিন্তু বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে প্রথম খেলতে নামা পেসার রেজাউল রহমান স্নায়ুর পরীক্ষায় জিতলেন। রেজাউলের শেষ ওভার থেকে আইরিশ দুই ব্যাটসম্যান নিতে পারলেন মাত্র ৫ রান। আঁটসাঁট বোলিংয়ের দারুণ প্রদর্শনীতে সাইফ হাসানের দল জিতল ৫ রানে।

অথচ ৩৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা ছিল আইরিশদেরই। মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরিতে ইমার্জিং দলের ছুড়ে দেওয়া ২৬১ রানের লক্ষ্যটা খুব সহজই মনে হচ্ছিল আইরিশ ওপেনার স্টিভেন দোহেনি ক্রিজে থাকা অবস্থায়। দলীয় ৭ রানেই ওপেনার জেরেমি লাউলর আউট হলেও দোহেনি ও মার্ক অ্যাডায়ার দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি গড়েন।

সাইফ হাসান এসে ৪৫ রান করা অ্যাডায়ারকে আউট করে জুটি ভাঙেন। সাইফ, তানভির ইসলাম ও শামিম হোসেনের বোলিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারছিলেন না আইরিশ মিডল অর্ডার। দোহেনি ছিলেন ব্যতিক্রম। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়লেও ৩৫তম ওভার পর্যন্ত লড়ে যান তিনি। রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে শামিমকে ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হন দোহেনি। ৯৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর নেইল রক ও আইরিশ লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে সিরিজজয়ী বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

ইমার্জিং দলের রান আইরিশদের নাগাল ছাড়া করেছেন মূলত মাহমুদুল। আগের ম্যাচে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন রান তাড়া করতে গিয়ে। আজ আগে ব্যাট করার সুযোগটা কাজে লাগান লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে। একাই দলের পুরো ইনিংস টেনে দলকে পৌঁছে দেন লড়াই করার মতো রানে।

শুরুতে সাইফের উইকেট হারালেও খেই হারাননি ২০ বছর বয়সী মাহমুদুল। আনিসুল, তৌহিদ, শাহাদাতের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে রান বাড়াতে থাকেন। নিজের স্বভাবসুলভ ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করেছেন, প্রাপ্য বুঝিয়েছেন বাজে বলের। ৭১ বলে ৫ চারে ফিফটি করেন। সেঞ্চুরি করতেও বেশি তাড়াহুড়ো করেননি। ৭টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কায় ১২৪ বলে পা রাখেন তিন অঙ্কে। এরপর দ্রুত রান তুলে বাড়ান দলের রান। সেঞ্চুরির পর ১১ বলে করেন ২৩ রান। তাঁর ১২৩ রানের ইনিংসের কল্যাণেই ইমার্জিং দলের রান আড়াই শ ছাড়ায়।