Thank you for trying Sticky AMP!!

মুশফিকের ব্যাট বিক্রির টাকায় ৩০০ পরিবারকে ঈদ উপহার

ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির ঐতিহাসিক সেই ব‍্যাট নিলামে বিক্রির অর্থ দিয়ে অসহায় পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা। আজ বগুড়া শহরে। ছবি: সংগৃহীত

নিলামে ব্যাট বিক্রির টাকা দিয়ে বগুড়ার ৩০০ দরিদ্র পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। তাঁর ভক্ত, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা গত শুক্র ও আজ শনিবার জেলা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব বিতরণ করেন।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক ইনিংসে দুই শ রান করেন মুশফিক। দ্বিশতক হাঁকানো সেই ব্যাটটি সম্প্রতি নিলামে তোলেন তিনি। সেটি প্রায় ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এ থেকে ২ লাখ টাকা তিনি বগুড়ায় পাঠিয়েছেন। সেই টাকায় ঈদের দিন আরও ২৫০ পরিবারে খাবার পৌঁছানো হবে।

মুশফিকুর রহিমের পক্ষ থেকে এসব সহায়তা বিতরণে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করছেন বগুড়া জেলার কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এ দলের নেতা হিসেবে রয়েছেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সামির হোসেন। এ উদ্যোগের সমন্বয় করছেন জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুশফিকের সহপাঠী মাসুদুর রহমান।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা জানান, গত শুক্র ও শনিবার শহরের সাতমাথা, মালতিনগর, নামাজগড়, শেখেরকোলাসহ বিভিন্ন স্থানে ৩০০ পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৬ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন, ২ কেজি আলু, আধা কেজি করে লবণ ও পেঁয়াজ এবং একটি করে সাবান বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত ও নিম্ন–মধ্যবিত্ত ১০০ পরিবারকে ১ কেজি করে লাচ্ছা সেমাই ও চিনি, ২ কেজি সুগন্ধি চাল ও ২০০ গ্রাম গুঁড়া দুধ দেওয়া হয়েছে।

উদ্যোগের সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান বলেন, মুশফিকুর রহিমের ঈদ উপহার তাঁর শৈশবের স্মৃতিঘেরা বগুড়া জিলা স্কুলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন ২৫০ পরিবারকে রান্না করা বিশেষ খাবারের প্যাকেট দেওয়া হবে। প্রতিটি প্যাকেটে থাকবে লাচ্ছা সেমাই, পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির মাংস ও বুটের ডাল।

২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার গল টেস্টে দুই শ রানের সেই ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। করোনায় দুর্গত মানুষকে সহায়তা করতে সম্প্রতি সেই ব্যাটটি অনলাইনে নিলামে তোলেন তিনি। পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির আফ্রিদি ফাউন্ডেশন সেটি কিনে নেয়। ব্যাট বিক্রির পুরো অর্থ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও খাদ্যসহায়তায় ব্যয় করা হচ্ছে।