Thank you for trying Sticky AMP!!

মুশফিক কাকে 'লাভ' দেখালেন?

ডাবল সেঞ্চুরির পর মুশফিক উদ্‌যাপন করলেন এভাবে। ছবি: প্রথম আলো
ডাবল সেঞ্চুরির পর মুশফিকের উদ্‌যাপনটা হলো দেখার মতো। হাত দুটো এক করে ভালোবাসার চিহ্ন দেখালেন। কাকে দেখালেন, বিস্তারিত বললেন সংবাদ সম্মেলনে।


এমনিতে মুশফিকুর রহিম ভীষণ আবেগপ্রবণ। সামান্য ব্যর্থতায় অনেক ভেঙে পড়েন। বিষাদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁর সময় লেগে যায় অনেকটা। দুঃসময়ে মন কীভাবে ভালো করা যায়, এত দিনে মুশফিক একটা উপায় খুঁজে পেয়েছেন। উপায়টা হচ্ছে শাহরুজ রহিম মায়ানের হাসিমুখ দেখা। মায়ান, মুশফিকের ছেলে; যে পৃথিবীতে এসেছে গত ফেব্রুয়ারিতে। বাংলাদেশ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ভুবনটা এখন ছেলেকে ঘিরে।

মায়ান হাসলে মুশফিক হাসেন। না দেখে থাকতে পারেন না বলে মুঠোফোনের ওয়ালপেপারে পর্যন্ত ছেলের ছবি রেখেছেন। এই যে হাসিখুশি, সুখী-শান্তিতে ভরা একটা জীবন পেয়েছেন মুশফিক, এতে একজনের অনেক অবদান---জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি, তাঁর সহধর্মিণী।

টেস্টে ইতিহাসের প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে আজ মুশফিক যখন দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করলেন, তাঁর উদ্‌যাপনটা হলো বেশ ‘রোমান্টিক’! দুই হাত এক করে আঁকলেন ‘লাভ’ চিহ্ন। মুশফিক কাকে দেখালেন এই ভালোবাসার চিহ্নটা? সংবাদ সম্মেলনে আসার পথেই জানালেন, স্ত্রীকে। স্ত্রী তাঁকে অনেকভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরেকটু বিস্তারিত বললেন, এই ডাবল সেঞ্চুরি তিনি উৎসর্গ করেছেন স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াতকে, ‘আজ একটু আগ থেকে পরিকল্পনা ছিল, যদি ওই জায়গায় যেতে পারি (ডাবল সেঞ্চুরি) তবে সেঞ্চুরিটা সহধর্মিণীকে উৎসর্গ করব। এটা সত্যিই স্পেশাল। ওর অনেক অবদান। অনেক সময় মন খারাপ করে থাকি। বিয়ে করার পর অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাচ্চা হওয়ার পর তো আরও বেশি। আর আমার ফোনের ওয়াল পেপারে ওর (সন্তানের) ছবি। ওর একটু হাসি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।’

আজ যদি রোমান্টিক উদ্‌যাপন হয়, গতকাল সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্‌যাপনটা ছিল কিছুটা খ্যাপাটে। কেন, সেটিরও কারণও বললেন মুশফিক, ‘মিরপুরে প্রথম সেঞ্চুরি। যখন ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। ৭০-৮০ রানে ছিলাম, ভাবছিলাম একটা সেঞ্চুরি করলে আমার জন্য অনেক ভালো। বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানের নিজের হোম গ্রাউন্ডে অনেক ভালো রেকর্ড থাকে। অথচ মিরপুরে আমার একটা সেঞ্চুরি নেই। সেঞ্চুরির জন্য উন্মুখ ছিলাম। আবার সিরিজে পিছিয়ে আছি, সবকিছু মিলিয়ে এটার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।’