মুশফিক খেলবেন কি না, সিদ্ধান্ত জানাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
মা–বাবার অসুস্থতার জন্য হঠাৎ করেই ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে ১৪ জুলাই রাতে জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৩ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে তখন থেকেই অনিশ্চিত মুশফিক, অনিশ্চিত এখনো।
জানা গেছে, মুশফিকের মায়ের অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো। বাবার শারীরিক অবস্থাও আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। এই অবস্থায় মুশফিক চাচ্ছেন দলের সঙ্গে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ফিরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা খেলতে। কিন্তু তাঁর খেলা না খেলাটা এখন আর বিসিবির হাতে নেই।
কোয়ারেন্টিন ছাড়াই হঠাৎ করে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকে মুশফিক এই সিরিজে খেলতে পারবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত জানাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সফরে সতর্ক অস্ট্রেলিয়া দল জৈব সুরক্ষাবলয়ের ব্যাপারে বিসিবিকে বেশ কিছু কঠিন শর্তই দিয়েছে। তার একটি ক্রিকেটারদের এই সিরিজের জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে হবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করে।
জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দল যেহেতু জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যেই আছে, এই দলের সঙ্গে থাকা ক্রিকেটারদের কারও হারারে থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। দেশে ফিরে সরাসরিই তারা আবার জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকে যাবেন, বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যাবেন হোটেলে।
মুশফিকের ব্যাপারটা একেবারে শেষ মুহূর্তে হওয়ায় একটু সমস্যা হয়ে গেছে। ওর পারিবারিক যে অসুবিধা ছিল, সেটি এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ও খেলতে চাইতেই পারে। কিন্তু কোয়ারেন্টিনে ঢোকার সময় গতকালই শেষ। তারপরও আমরা এ নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মতামত জানতে চেয়েছি।নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী বিসিবি
জরুরি কারণে দেশে ফিরে না গেলে মুশফিকের ক্ষেত্রেও সেটিই হতো। কিন্তু জৈব সুরক্ষাবলয় থেকে বের হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁর এখন ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন করেই দলে ঢুকতে হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া শর্ত অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে ঢোকার শেষ সময়ও শেষ হয়ে গেছে গতকালই।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজ ঢাকা থেকে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলছিলেন, ‘মুশফিকের ব্যাপারটা একেবারে শেষ মুহূর্তে হওয়ায় একটু সমস্যা হয়ে গেছে। ওর পারিবারিক যে অসুবিধা ছিল, সেটি এখন অনেকটাই কেটে গেছে। ও খেলতে চাইতেই পারে। কিন্তু কোয়ারেন্টিনে ঢোকার সময় গতকালই শেষ। তারপরও আমরা এ নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মতামত জানতে চেয়েছি। এখানে তাদের মতামতটাও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি তারা ইতিবাচক জবাবই দেবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভাড়া করা বিশেষ বিমানে ২৯ জুলাই অস্ট্রেলিয়া দলের ঢাকায় পৌঁছার কথা। যেহেতু তারাও জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকেই আসছে, ঢাকায় এসে তিন দিনের কোয়ারেন্টিন করেই অনুশীলনে নেমে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরেবাংলা সিরিজের পাঁচটি ম্যাচ হবে ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। দিবারাত্রির প্রতিটি ম্যাচই শুরু হওয়ার কথা সন্ধ্যা ছয়টায়।
জিম্বাবুয়ে থেকে ২৮ জুলাই রওনা দিয়ে বাংলাদেশ দলেরও দেশে পৌঁছার কথা ২৯ জুলাই। টি–টোয়েন্টি সিরিজটা নির্ধারিত সূচির দুই দিন আগে শেষ হলেও এখন পর্যন্ত যেটা সিদ্ধান্ত, দল দেশে ফিরবে আগের সূচি অনুযায়ীই। কারণ, হঠাৎ করে পুরো দলের বিমান টিকিট পরিবর্তন করাটা যেমন কঠিন, ওদিকে ঢাকায়ও হোটেল বুকিং দেওয়া ২৯ জুলাই থেকেই।
কাজেই বাড়তি দুটো দিন হারারেতেই কাটিয়ে যাবে দল। জৈব সুরক্ষাবলয়েই যেহেতু থাকতে হবে, সেটি ঢাকাতে থাকলেই কি আর হারারেতে থাকলেই কি!