Thank you for trying Sticky AMP!!

মোস্তাফিজ ধারে কাটলেন থান্ডার্সকে

বল হাতে ফর্মে মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: শামসুল হক।
>মোস্তাফিজের সেই আগের ধার নেই, এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল কদিন ধরে। সমালোচকদের জবাব দিতে শুরু করেছেন বাঁহাতি পেসার। ধারাবাহিক ভালো বোলিং করে ফিজ যেন বলতে চাইছেন, তিনি হারাননি

দাসুন শানাকা যেদিন টানা ৪ ছক্কা মারলেন, সেদিন রবটা আরও জোরালো হলো, ‘ফিজ ফিনিশড’! মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে ধার নেই, বোলিংয়ে বৈচিত্র্য নেই। কোথায় হারালেন সেই মোস্তাফিজ—কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল এমন একটা প্রশ্ন।

মোস্তাফিজ নিজেও যেন তখন দিগ্ভ্রান্ত! জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে ভালো করতে পারেননি। নভেম্বরে ভারত সফরটা গেল আরও বাজে। কী করিলে কী হইবে—মোস্তাফিজ হন্যে হয়ে উত্তর খুঁজছেন। কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। বারবার বলছিলেন, ‘আমরা কী যে হলো! ভালো বলও তো মেরে দিচ্ছে ব্যাটসম্যানরা!’

একটা কঠিন গোলকধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। ইতিবাচক হচ্ছে, তাঁর সামনে রহস্যের সে জট খুলতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ২৩ রান দিয়ে পেলেন ২ উইকেট। ঢাকায় ফিরে ২৭ ডিসেম্বর খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বাঁহাতি পেসার পেলেন ২৮ রানে ৩ উইকেট। আজ মিরপুরে সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে তো আরও দুর্দান্ত—৪ ওভারে ১০ রানে পেলেন ৩ উইকেট।

টুর্নামেন্টের শুরুতে যাঁর পারফরম্যান্স সমালোচকদের কাঠগড়ায়, সেই মোস্তাফিজ উইকেটশিকারি ও ইকোনমিতে এই মুহূর্তে তাঁর দলের সেরা বোলার। ৭ ম্যাচে ৬.৭৮ ইকোনমি ও ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলারদের তালিকায় চলে এসেছেন সেরা দুইয়ে। পয়েন্ট তালিকায় মোস্তাফিজের দল রংপুর রেঞ্জার্সের অবস্থান একেবারে তলানিতে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১ জয় পাওয়া রংপুরের দৌড় হয়তো শেষ হচ্ছে সেরা চারের আগেই। শেষ চারে না গেলেও মোস্তাফিজরা পাবেন আরও ৫টি ম্যাচ।

বাকি ৫ ম্যাচেও যদি ছন্দটা ধরে রাখতে পারেন, টুর্নামেন্ট শেষে মোস্তাফিজ অন্তত বলতে পারবেন, ‘দলের ভালো না গেলেও বিপিএলটা আমার ভালো গেছে, ফিরে পেয়েছি নিজেকে!’