Thank you for trying Sticky AMP!!

মোস্তাফিজের সমস্যা কোথায়, বললেন কুম্বলে

আয়ারল্যান্ডে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সে বেশ ওঠা-নামা ছিল। ছবি: এএফপি

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার তুরুপের তাস। পেস বোলিং আক্রমণে তাঁকে ‘অটোমেটিক চয়েস’ হিসেবেই ধরে টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ সেই মোস্তাফিজুর রহমান কখনো কখনো এত নির্বিষ বোলিং করেন, তাঁর সামর্থ্য নিয়েই তৈরি হয় সংশয়!

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাবলিনের আকাশের মতোই ছিল মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স। কখনো সাফল্যের রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়ল তো সেটিই আবার ঢেকে গেল ব্যর্থতার মেঘে। যখন বাঁহাতি পেসার ব্যর্থ হয়েছেন, কথা উঠেছে। হবে না কেন? আবির্ভাবেই ভীষণ আলোড়ন তৈরি করেছিলেন।

বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটার যেটি করতে পারেননি, মোস্তাফিজ সেটিই করেছিলেন—মাঠে নেমেই পরিণত হয়েছিলেন ম্যাচ উইনার হিসেবে। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় পরিণত হয়েছিলেন মূর্তিমান আতঙ্কে। শুরুতে এত ভালো করেছিলেন যে এখন একটু খারাপ করলেই ‘মোস্তাফিজের আগের ধার নেই’ বলে রব ওঠে।

মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স যদি এভাবে ওঠা-নামা করে, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ নেতৃত্ব দেবেন কী করে? ভারতীয় একটি ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক কোচ অনিল কুম্বলেও বলছেন, যদি পুরোনো মোস্তাফিজকে দেখা যায়, বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বিপজ্জনক এক দল, ‘মোস্তাফিজ শুরুতে ১৪০ কিলোমিটারেই সুইং করাতে পারত। জাদুকরি স্লোয়ার বল দিতে পারত। অনেক ব্যাটসম্যান যেটা পড়তে পারত না। যে কারণেই হোক ওর গতি কমে গেছে। মাঝে চোটে পড়েছিল। এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ মোস্তাফিজ শুরুটা কেমন করে সেটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। চোট নিয়ে একটু চিন্তা আছে। এটা ভালোই চ্যালেঞ্জিং হবে ওর জন্য। তবে একাদশে বাঁহাতি পেসার পাওয়াটা সব সময়ই একটা বাড়তি সুবিধা। মোস্তাফিজের সামর্থ্য আছে। সে যদি নিজের বোলিংটা করতে পারে, পুরোনো মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনতে পারে, বাংলাদেশ ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে যেকোনো দলের জন্যই।’