Thank you for trying Sticky AMP!!

ম্যাচ বয়কট করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ!

বাংলাদেশ ম্যাচ বয়কট করতে চেয়েছিল! ছবি: শামসুল হক

ইনিংসের শেষ ওভারে পর পর দুটি বাউন্সার। একটিও ওয়াইড দিলেন না শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার! এর মধ্যে দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যেই হঠাৎ মাঠের পাশে নেমে এলেন সাকিব আল হাসান। একটু পরেই মাঠে জড়ো হলেন আরও কজন। মাঠে মাহমুদউল্লাহ উত্তেজিত কণ্ঠে কথা বলছেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। মাঠ থেকে এর মধ্যে ব্যাটসম্যানদের চলে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন সাকিব। কী হচ্ছে মাঠে?

সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা। ৪ বলে ১২ রান দরকার, এমন অবস্থায় কি তবে ম্যাচ থেমে যাবে? শেষ ওভারে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ কি আসলেই মাঠে ছেড়ে উঠে আসার ঘটনা ঘটাবে? তাহলে যে ডিসকোয়ালিফাইড হবে বাংলাদেশ। এই বিতর্ক গড়াবে আরও বহু দূর। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটেই ম্যাচ বয়কটের ঘটনা আছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, যেটি আজও আলোচিত হয়। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কেও দাগ থেকে যেত সন্দেহ নেই।

ম্যাচ বয়কট করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ!

কিন্তু মাথা ঠান্ডা করল দল। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ ব্যাট করতে পাঠালেন মাহমুদউল্লাহকে। সাকিবকে ঠেলেঠুলে ড্রেসিংরুমে পাঠানো হলো। আউট হয়ে সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকিব। পায়ের প্যাড পর্যন্ত খোলেননি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভীষণ উত্তপ্ত।
বাংলাদেশের সৌভাগ্য, এ সময়ে উইকেটে ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ঠান্ডা মাথার মানুষটা। মাহমুদউল্লাহ বোঝালেন তাঁর মাথা আসলেই কত ঠান্ডা। চার, দুই এবং...ছক্কা! এক বল বাকি রেখেই বাংলাদেশের জয়।

ঝামেলাটা সৃষ্টি করেছেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ারই। লেগ আম্পায়ার দ্বিতীয় বাউন্সারকে নো-বল দেখিয়েছিলেন কিন্তু মূল আম্পায়ার সেটা অগ্রাহ্য করেছেন। ওই সময়ে একটি বাড়তি রান, বাড়তি বল ও ফ্রি হিটের মূল্য যে অপরিসীম। রিপ্লেতেও দেখা দ্বিতীয় বলটি প্রথম বাউন্সারেরও ওপর দিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের রাগের কারণ ছিল, তবে সেটা সামলে মাঠে থাকাটাই শেষ পর্যন্ত কাজে লেগেছে। আজীবন গল্প করার মতো এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।