Thank you for trying Sticky AMP!!

যে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না সেলিম মালিক

সেলিম মালিককে আগে দিতে হবে সেই প্রশ্নের উত্তর। ফাইল ছবি

সেলিম মালিক ক্রিকেটে ফিরতে চান। কোচ হিসেবে তিনি ভূমিকা রাখতে চান পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নয়নে। কিন্তু ২০০০ সালে ম্যাচ পাতানোর অপরাধে আজীবন নিষিদ্ধ পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ককে কীভাবে কাজে লাগাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)? তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়েরই ফয়সালা করেননি আজ ২০ বছর ধরে!

গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যাপারটি জুয়াড়িদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিবরণ। ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে আইসিসি সেই বিবরণের ওপর ভিত্তি করেই পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে আজীবনের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। যদিও ২০০৮ সালে পাকিস্তানের একটি আদালত মালিকের আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু গত ১২ বছরেও তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটে প্রকাশ্য হতে পারেননি। পিসিবি বলছে, মালিক পাকিস্তানের ক্রিকেটে কাজ করতে পারবেন কিন্তু প্রথমেই তাঁকে জুয়াড়িদের সঙ্গে সেই কথোপকথনের বিপরণীর ব্যাপারে পরিষ্কার বক্তব্য রাখতে হবে। এ ব্যাপারে পিসিবি তাঁকে নোটিশও দিয়েছে। কিন্তু মালিক সেই নোটিশের আজ পর্যন্ত কোনো জবাব দেননি।

২০১৪ সালে পিসিবি বরাবর লেখা এক চিঠিতে মালিক ম্যাচ পাতানোর অপরাধ স্বীকার করে বলেছিলেন, 'আমি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি আমি আমার অপরাধ স্বীকার করতে প্রস্তুত। সেই সঙ্গে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত। আমি এখন আমার পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই। আমি আমার এই পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আইসিসি ও পিসিবিকে পুরোপুরি সহায়তা করতে প্রস্তুত। আমি পিসিবিকে অনুরোধ করছি, আইসিসির সঙ্গে কথা বলতে এবং আমার পূনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে।'

সম্প্রতি পিসিবি মালিককে জানিয়ে দিয়েছে, সেই কথোপকথনের ব্যাপারে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে এ ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই, ' অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আপনি এপ্রিল ২০০০ সালে সংঘটিত কথোপকথনের ব্যাপারে কিছু না বলার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আপনি যদি ব্যাপরটি নিয়ে কিছু না বলেন, তাহলে পিসিবির পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।'

নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের অধিনায়ক হয়েছিলেন মালিক। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধেই প্রথম ম্যাচ পাতানোর গুরুতর অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৫ সালে তিন অস্ট্রেলিয়ান তারকা মার্ক ওয়াহ ও শেন ওয়ার্ন অভিযোগ করেন, ১৯৯৪ সালে একটি টেস্ট ম্যাচে খারাপ খেলার জন্য মালিক তাদের বিশাল অংকের অর্থের ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন।

মালিক তাঁদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে বহাল তবিয়তে খেলে যান। ২০০০ সালে কেবল সেলিম মালিকই নন, ম্যাচ পাতানোর জন্য আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হ্যানসি ক্রনিয়ে। বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকর। ক্রনিয়ে ২০০২ সালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন।