Thank you for trying Sticky AMP!!

রংপুরকে একাই টানলেন নাঈম

আজ জ্বলে উঠেছিল নাঈমের ব্যাট। ছবি : শামসুল হক

মোহাম্মদ নাঈমের আফসোস হতেই পারে। সতীর্থরা আরেকটু সাহায্য-সহযোগিতা করলে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটা হয়তো তিনিই পেতেন! সেটা হয়নি অবশ্য। এক প্রান্ত আগলে রাখলেন প্রায় আঠারো ওভার পর্যন্ত। ৫৪ বলে ছয়টা চার ও তিন ছক্কার সাহায্যে খেললেন ৭৮ রানের এক অসাধারণ ইনিংস। রুবেল হোসেনের বলে মেহেদি হাসান রানার হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, রংপুর রেঞ্জার্সের রান তখন ১৩৮, পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে।

নাঈম যা রান করলেন, রংপুরের বাকি নয় ব্যাটসম্যান মিলে রান করলেন তার চেয়ে এক বেশি। বিশ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান তুলেছে রংপুর। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করতে নামছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আজ প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কত্বের দায়িত্বও তিনিই পালন করছেন। এসেই বল করলেন চার ওভার। যোগ্য অধিনায়কের মতো বাকি বোলারদের দেখিয়ে দিলেন, কীভাবে কিপটে বোলিং করতে হয়। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন, তুলে নিয়েছেন জহুরুল ইসলামের উইকেটটি।

>

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বিশ ওভার খেলে ১৫৭ রান করল রংপুর রেঞ্জার্স। যার প্রায় অর্ধেক রান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম একাই করলেন।

মাহমুদউল্লাহর দেখানো পথ ধরে চট্টগ্রামের বাকি বোলাররা সেভাবে এগোতে পারেননি যদিও। সবাই ওভারপ্রতি মোটামুটি আট রানের বেশি দিয়েছেন। এদের মধ্যে তুলনামূলক সফল ক্যারিবীয় পেসার কেসরিক উইলিয়ামস। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুই আফগান মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ নবীর উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন, জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিনার রায়ান বার্ল ও মেহেদি হাসান রানা। উইলিয়ামসের বলে শেহজাদকে আউট করার জন্য প্রায় কয়েক মিটার পেছনে দৌড়ে রায়ান বার্ল যে ক্যাচটা লুফে নিয়েছেন, সন্দেহাতীতভাবে তা জায়গা করে নেবে বিপিএলের ইতিহাসের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ হিসেবে।

নাঈম ছাড়া রংপুরের হয়ে ব্যাট হাতে তেমন কেউই সফল ছিলেন না। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী একটু চেষ্টা করেছিলেন, ১২ বলে ২১ রানের এক ক্যামিও খেলেছেন। কোনোরকমে দশ পেরোনো ইনিংস খেলেছেন দুই বিদেশি টম অ্যাবেল ও লুইস গ্রেগরি। শেষে তাসকিন ৪ বলে ১১ রান করলে রংপুরের রান দেড় শ পেরোয় না। শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র একটা বাউন্ডারি মারতে পেরেছে, তাও এই তাসকিনের সৌজন্যেই।