Thank you for trying Sticky AMP!!

রুবেল-তাসকিনের গতি হারাল কোথায়

বিপিএল প্রায় শেষ দিকে। দুদিন পর শেষ চারের লড়াই। টুর্নামেন্টে এবার পেসাররা খুবই ভালো করেছেন। উইকেট শিকারে ভালো হলেও তাঁরা কি পেরেছেন বিসিবির বেঁধে দেওয়া ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করার নির্দেশটা মানতে?
উইকেট পেলেও বাংলাদেশের পেসাররা গতির ঝড় তুলতে পারেননি। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বিসিবির নির্দেশনা ছিল, ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে এমন বিদেশি ফাস্ট বোলার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে প্রতিটি দলকে। নির্দেশনাটা যে ঠিকঠাক মানা হয়নি, সেটি নতুন করে বললে ক্লিশেই শোনাবে।

যে কজন গতিময় বোলার খেলছেন তাঁরা কতটা পেরেছেন ধারাবাহিক ১৪০+ গতিতে বোলিং করতে? বিপিএলে গতির ঝড় যা তোলার আসলে ওয়াহাব রিয়াজই তুলেছেন। টুর্নামেন্ট সেরা পাঁচ গতিময় বোলারের তালিকা করলে তাঁর নামই আসবে প্রতিবার! সেরা পাঁচ কেন সেরা দশ গতিময় বলের তালিকা করলে সেখানেও ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের একক দাপট! গতিতে আসলে তাঁর আশপাশে কেউ নেই। সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কাল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ গতি উঠেছে ১৪৬.৮ কিলোমিটার, সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে যেটি তুলেছিলেন ওয়াহাব। একমাত্র তিনিই টুর্নামেন্টে নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করতে পেরেছেন।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বোলারদের সর্বোচ্চ গতি: 

বোলার

গতি (ঘণ্টায় কিমি)

প্রতিপক্ষ

ওয়াহাব রিয়াজ

১৪৬.৮

সিলেট

ওয়াহাব রিয়াজ

১৪৬.৪

রাজশাহী

ওয়াহাব রিয়াজ

১৪৬.৩

সিলেট

ওয়াহাব রিয়াজ

১৪৬.২

সিলেট  

ওয়াহাব রিয়াজ

১৪৫.৩

কুমিল্লা

বিদেশি ফাস্ট বোলাররা নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারেননি। আর বাংলাদেশের পেসাররা কালেভদ্রেই তুলতে পেরেছেন ১৪০ কিংবা তারও বেশি গতি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এবাদত হোসেন সবচেয়ে বেশি গতিতে বোলিং করেছেন। ২০১৬ পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা বাংলাদেশ দলের এ পেসার সর্বোচ্চ ১৪৪.২০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছেন। দুইয়ে আছেন ঢাকার চমক হাসান মাহমুদ। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (২০টি) মোস্তাফিজুর রহমান এ তালিকায় আছেন তিনে। বাঁহাতি পেসার সর্বোচ্চ গতি তুলেছেন ১৪১.১০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে যাঁর পরিচিতি সবচেয়ে ‘গতিময় বোলার’ হিসেবে, সেই তাসকিন আহমেদ এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১৪০.২০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পেরেছেন। হতাশ করেছেন দেশের আরেক পেসার রুবেল হোসেন। এখন পর্যন্ত রুবেল ১৪০-ই তুলতে পারেননি, করতে পেরেছেন সর্বোচ্চ ১৩৯.৮০। এ পরিসংখ্যান যেন প্রশ্ন তুলছে, রুবেল-তাসকিনের গতি হারাল কোথায়?

বাংলাদেশি বোলারদের সর্বোচ্চ গতি:

নাম

গতি (ঘণ্টায় কিমি)

এবাদত (সিলেট)

১৪৪.২০

হাসান (ঢাকা)

১৪২.৪০

মোস্তাফিজ (রংপুর)

১৪১.১০

তাসকিন (রংপুর)

১৪০.২০

রুবেল (চট্টগ্রাম)

১৩৯.৮০

 * গতকাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান