Thank you for trying Sticky AMP!!

দারুণ ইনিংস খেলেছেন মুশফিক।

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতল মুশফিকের ঢাকা

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের লিটন দাস উইকেটে জমে গেছেন। উইকেটের পেছনে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। শরীরী ভাষায় চাপা উত্তেজনা। এর মধ্যে দুবার রিভিউ নিয়েও লিটনকে সাজঘরে পাঠাতে পারেননি। দুবারই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়েছেন মুশফিক।

লিটন জানেন নিজের উইকেটটা দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার ছুড়ে দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করতে হলে লিটনকেই সিংহভাগ রান করতে হবে। মুশফিকও বুঝছেন ম্যাচের অবস্থা। আর কিছুক্ষণ লিটনের ক্রিজে থাকা মানেই ম্যাচ হাতছাড়া। সঙ্গে হয়তো শেষ চারে জায়গা ধরে রাখাও কঠিন হয়ে উঠবে।

শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। লিটন আউট হলেন শর্ট ফাইন লেগে শফিকুল ইসলামের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে। এরপর খুলে যাওয়া দুয়ার দিয়ে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা একে একে এসেছেন এবং সাজঘরে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকায় তিনে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এটি ঢাকার তৃতীয় জয়। ওদিকে চট্টগ্রাম টানা চার ম্যাচ জয়ের পর আজই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম হারের স্বাদ পেল।

দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন লিটন।

ম্যাচটা ঘুরে যায় ইনিংসের ১৪তম ওভারে। রবিউল ইসলামের স্ট্যাম্পের ওপর থাকা ডেলিভারিতে স্কুপ শট খেলার চেষ্টা করেন ৪৭ রানে দাঁড়ানো লিটন। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন তখন তৃতীয় ফিফটির অপেক্ষায়। ফাইন লেগে বাঁহাতি পেসার শফিকুলকে পরাস্ত করার চেষ্টা ছিল লিটনের। কিন্তু বল গেল বাতাসে। শফিকুল চিতার মতো ঝাঁপ দিয়ে বল তালুবন্দী করেন। ৩৯ বলে ৪৭ রান করা লিটনের চোখে–মুখে তখন অবিশ্বাস।

ওই সময়ে অন্য প্রান্তে ছিলেন আরেক থিতু ব্যাটসম্যান চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। শফিকুল ক্যাচ নেওয়ার পরের ওভারেই বল হাতে আউট করলেন মিঠুনকে। দুই থিতু ব্যাটসম্যান হারিয়ে খেই হারায় চট্টগ্রাম। তবু সুযোগ ছিল ম্যাচ বের করার। ক্রিজে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন, খেলছিলেন ভালোই। কিন্তু ম্যাচ শেষ করতে পারেননি রুবেল হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে। শেষের দিকে মুক্তার আলী যোগ দেন উইকেট শিকারে। আগের ম্যাচের মতো আজও ডেথ ওভারে এসে উইকেট নেন মুক্তার। ম্যাচ শেষ করেন চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটে ১৩৮ রানে থামিয়ে।

ঢাকার সেরা বোলার মুক্তার।

ঢাকাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগটা করে দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক। আজও ঢাকার টপ অর্ডার ব্যর্থ, ২৩ রানে নেই ৩ উইকেট। আগের তিন ম্যাচের মতো আজও ঢাকাকে বিপদমুক্ত করেন মুশফিক ও ইয়াসির আলী। ৮৬ রানের জুটি গড়ে শেষে ঝড় তোলার মঞ্চ গড়েন দুজন। ইয়াসির ৩৮ বলে ৩৪ রানে আউট হলেও মুশফিক খেলেন তাঁর স্বভাবসুলভ ব্যাটিং।

শুরুতে স্পিনে উইকেটের স্কয়ার ও পেছনে রান করেছেন। এরপর মিড উইকেট ও ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারি দিয়ে ছক্কা হাঁকান। ডেথ ওভারে এসে ইনসাইড আউট শটে বাউন্ডারি বের করেন মুশফিক। মুশফিকের একার ব্যাটিংয়েই বাড়ে ঢাকার রান। ৫০ বলে খেলা অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসটি মুশফিকের এবারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ছিল মুশফিকের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।