Thank you for trying Sticky AMP!!

লকডাউনে বোলারদের ক্ষতি বেশি

করোনার প্রভাব ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলাররাই বেশি টের পাবেন। প্রতীকী ছবি

লক ডাউনে বসে থাকায় অধিকাংশ খেলোয়াড়ই নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। বড় তারকাদের অনেকেই ঘরে জিম করতে পারছেন, তবু ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে কত দিন সময় লাগবে সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। অনেক খেলোয়াড় তো ঘরে জিম করারও সুযোগ পাচ্ছে না। এই করোনাকাল শেষ হলে তাই ম্যাচ ফিট হতে অনেকেরই হয়তো বেশ সময় লাগবে। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এভাবে বসে থাকায় বোলারদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

ভারত দলের সাবেক ট্রেনার রামজি শ্রীনিবাসন ফিটনেসের দিকটা নিয়ে কথা বলেছেন পিটিআইয়ের সঙ্গে, 'খেলায় ফিটনেস ধরে রাখা হচ্ছে সময়ের অপচয় যদি না আপনি সেটা মাঠে খরচ করতে পারেন, ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে না পারেন। এভাবে শক্তির হস্তান্তরই ফিটনেসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। একজন এখন ১০০ কেজি ভার তুলতে পারে কিন্তু সে নিজের চোট মুক্তির ব্যাপারে কিংবা পারফরম্যান্স আরও ভালো হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে না যতক্ষণ না শক্তিটা হস্তান্তরের জায়গা পাচ্ছে। এ পর্যায়ে বোলারদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়, ব্যাটসম্যানদের অতটা না।'

কেন বোলারদেরই ঝামেলা পোহাতে হবে সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শ্রীনিবাসন, ‘বোলিং হচ্ছে রিদম আর দক্ষতা নির্ভর ফিটনেসের মিশেল। একটি থেকে আরেকটিতে হস্তান্তর হতেই হবে। এখন কেউ একজন দেড় শ কেজি ভর ওঠালেই এর মানে এটার নিশ্চয়তা নেই সে ম্যাচে নামলেই দ্রুত বা কার্যকর বোলিং করতে পারবে। এই দক্ষতা নির্ভর ফিটনেস ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। অনুশীলনে যত বাড়তি সময় থাকবেন, পেশী তত বেশি সেটা মনে রাখবে।’

ক্রিকেট খেলা দিন দিন ফিটনেস নির্ভর হয়ে উঠছে। যেহেতু ক্রিকেটাররা নিজ নিজ দক্ষতার অনুশীলন করতে পারছেন না, অন্তত শারীরিকভাবে নিজেদের ঠিক রাখুক, এটা চাচ্ছেন শ্রীনিবাসন, ‘এটা ওদের জন্য খুব কঠিন সময়। সব খেলা শুরু হওয়ার আগে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেদের কতটা প্রস্তুত করতে পারবে সেটা দেখার বিষয়। যেহেতু দক্ষতার অনুশীলন এখন সম্ভব না, তাদের ফিটনেসে নজর রাখা উচিত। কারণ ভালো করার জন্য এটাও গুরুত্বপূর্ণ।’

এই সময়টায় ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে দৃঢ়তা অর্জন করতে বলেছেন এই ট্রেনার, ‘এখনই সময় নিজেদের খেলার বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উন্নতি করার। নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেগুলো ঠিক করুক। এখনই ভালো সময়। কোনো নির্দিষ্ট কিছুতে সময় দাও, তা নিয়ে কাজ কর। খেলোয়াড়েরা সব সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চায়। এখনই সুযোগ সেটা করার।’