Thank you for trying Sticky AMP!!

লুকিয়ে আছে ছয় রকমের কষ্ট...

>চারটি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট, দুটি টি-টোয়েন্টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ছয়টি ফাইনাল খেলেছে, সবই আক্ষেপের গল্প। আজ দুবাইয়ে যোগ হলো ছয় নম্বর অধ্যায়টি

দুঃখ নম্বর ১
ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, মিরপুর, ২০০৯
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ১৫২
শ্রীলঙ্কা: ৪৮.১ ওভারে ১৫৩/৮
ফল: শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে জয়ী

স্বপ্ন-হন্তা মুরালিধরন
ফুলেফেঁপে ওঠা বাংলাদেশের আশার বেলুনটাকে ফুটো করে দিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। বল হাতে নয়, লঙ্কান স্পিন কিংবদন্তি বাংলাদেশের স্বপ্ন কাড়লেন ব্যাট হাতে। পুঁজি মাত্র ১৫২ রান, ৬ রানে শ্রীলঙ্কার প্রথম ৫ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। মুরালি ব্যাটিংয়ে নামলেন ১১৪ রানে ৮ উইকেট খোয়ানোর পর। ১৬ বলে ৩৩ রান করে বাংলাদেশের মুঠো থেকে কেড়ে নিলেন শিরোপা।

২০১২: ২ রানে হেরে যাওয়া সেই এশিয়া কাপ! কান্না! ফাইল ছবি

দুঃখ নম্বর ২
এশিয়া কাপ ফাইনাল, মিরপুর, ২০১২
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৬/৯
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৪/৮
ফল: পাকিস্তান ২ রানে জয়ী।

সাকিব-মুশফিকের কান্না
কাঁদছেন সাকিব, তাঁকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন মুশফিকও। দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে পরিচিত ছবিগুলোর একটি হয়ে আছে ফাইনাল শেষের দৃশ্য। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। মাহমুদউল্লাহ-রাজ্জাকরা প্রথম পাঁচ বলে নিতে পারলেন ৫। ১ বলে ৪ রানের সমীকরণটা আর মেলাতে পারেননি শাহাদাত, নিতে পারলেন মাত্র ১ রান। এই শাহাদাতই পাকিস্তানের ইনিংসের শেষে ওভারে ১৯ রান দিয়েছিলেন।

২০১৬: গত টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে অসহায় আত্মসমর্পণ করার যন্ত্রণা সইতে হয়েছিল। ফাইল ছবি

দুঃখ নম্বর ৩
এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি, মিরপুর, ২০১৬
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১২০/৫
ভারত: ১৩.৫ ওভারে ১২২/২
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।

টি-টোয়েন্টির চেনা বাংলাদেশ
বৃষ্টিতে ১৫ ওভারে নেমে আসা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশকে আফসোস করার কোনো সুযোগই রাখেনি ভারত। শেষ দিকে নেমে মাহমুদউল্লাহ ১৩ বলে ৩৩ রান না করলে ১২০-ও হয় না বাংলাদেশের। রান তাড়ায় ভারত ৫ রানে রোহিত শর্মাকে হারালেও শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি মিলে লক্ষ্যটাকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেন। ৭ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের প্রথম টি-টোয়েন্টি সংস্করণটা জিতে নেয় ভারত।

দুঃখ নম্বর ৪
ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, মিরপুর, ২০১৮
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২২১
বাংলাদেশ: ৪১.১ ওভারে ১৪২
ফল: শ্রীলঙ্কা ৭৯ রানে জয়ী।

আবারও ‘লঙ্কান’ হতাশা
একতরফা ফাইনালে দেখে বোঝার উপায় ছিল না টুর্নামেন্টের দুই দলের প্রথম দেখায় ১৬৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ৬৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ২২২ রানের লক্ষ্যে ছোটা বাংলাদেশ ইনিংস শুরুর আগেই হারিয়ে ফেলে সাকিবকে (হ্যামস্ট্রিং)। মাহমুদউল্লাহ এক পাশে দাঁড়িয়ে না গেলে শুরু থেকেই পথহারা বাংলাদেশের রানটা ১৪২-ও হয় না । শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত পেসার শেহান মাদুশঙ্কাকে হ্যাটট্রিক উপহার দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে।

দুঃখ নম্বর ৫
নিদাহাস টি-টোয়েন্টি, কলম্বো, ২০১৮
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৬/৮
ভারত: ২০ ওভারে ১৬৮/৬
ফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।

কার্তিকের ছক্কায় কুপোকাত
১৮তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে মনীশ পান্ডের উইকেট পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে ১৮ বলে ৩৫ থেকে ভারতের সমীকরণটা হয়ে গেলে ১২ বলে ৩৪ রানের। দিনেশ কার্তিক এসেই চড়াও রুবেল হোসেনের ওপর। ২ চার ও ২ ছক্কায় নিলেন ২২ রান। ৬ বলে ১২ রানের সমীকরণটাকে সৌম্য সরকার বানালেন ১ বলে ৫ রানের। ছক্কা ছাড়া উপায় নেই, কার্তিক ছক্কাই মেরে দিলেন।

২০১৮: নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের যন্ত্রণা অনেক দিন বয়ে বেড়াবে বাংলাদেশ। এভাবে উদ্‌যাপন করার কথা তো ছিল বাংলাদেশেরই! ফাইল ছবি

দুঃখ নম্বর ৬
এশিয়া কাপ, দুবাই, ২০১৮
বাংলাদেশ: ৪৮.৩ ওভারে ২২২/১০
ভারত: ৫০ ওভারে ২২৩/৭
ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী।

আশার তরি ডুবল হতাশায়
আজ একেবারেই আনকোরা ওপেনিং জুটি নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে মেহেদী মিরাজ। বাজিটা কী দারুণ লেগেও গেল। বিনা উইকেটে ১২০! সেখান থেকে ৩১ রানের মধ্যে টপ-মিডল অর্ডার হারিয়ে ফেলা। যে ধাক্কা বাংলাদেশ আর সামলাতেই পারল না। ১২০-এর সঙ্গে ১০২ যোগ করতেই ১০ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে এলেন। ২২২ রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচটা শেষ ওভারে টেনে নিয়ে যাওয়ায় ব্যাটিং নিয়ে আফসোসটা আরও বাড়লই।