Thank you for trying Sticky AMP!!

শূন্য পাওয়ায় আফ্রিদির চেয়েও ভালো যাঁরা

গতকালও গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন আফ্রিদি। ছবি: র‌্যাবিটহোল ইউটিউব থেকে
>বিপিএলে প্রথম দিনেই নিজের নামের পাশে থাকা একটি বিশেষণকে সার্থক করলেন শহীদ আফ্রিদি

এবারের বিপিএলে তারকার সংখ্যা একটু কম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে বড় বড় তারকাদের খুব কমই দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে। যেসব তারকা এসেছেন তাঁদের মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাত শহীদ আফ্রিদি। আজ রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে এবারের বিপিএল শুরু হলো আফ্রিদির। প্রথম দিনেই নিজের নামের পাশে থাকা একটি বিশেষণকে সার্থক করেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনটি কারণে বেশ নামডাক আফ্রিদির। বেশ জোরের ওপর লেগ স্পিন করেন বলে টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে খেলা কঠিন। আর ব্যাট হাতে যেকোনো সময় ঝড় তুলতে পারেন চল্লিশ পেরোনো এই পাকিস্তানি। যদিও আফ্রিদির ব্যাটিং মানে ঝড়ের উল্টো পাশে আশঙ্কা; এই বুঝি শূন্য হাতে ফিরলেন!

ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলতে নেমে কাল সেটাই করেছেন আফ্রিদি। ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল ঢাকা। এমন অবস্থায় নামা আফ্রিদির ওপর অনেক আশা ছিল ঢাকা। তখনো প্রায় ৮ ওভারের মতো খেলা বাকি। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের মাঠে নামার এটাই সেরা সময়। সেখানে কি না বোপারার অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুড়ে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন আফ্রিদি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ২৩তম শূন্য।

শূন্যের কথা বললেই সবাই একে আফ্রিদির সম্পত্তি বানিয়ে দিতে চান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি গোল্ডেন ডাক আফ্রিদির। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডটি কখনোই আফ্রিদির দখলে ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাঁর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। এমনকি আফ্রিদির স্বদেশি উমর আকমলও (২৭) তাঁকে টপকে দিলশানকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর চেয়ে বেশি শূন্যের কীর্তি আছে উমরের। এমনকি কামরান আকমলও (২৫) এ ক্ষেত্রে আফ্রিদির চেয়ে এগিয়ে। সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে যদিও পাকিস্তানি এ ত্রয়ীকে পেছনে ফেলেছেন এক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান।

বিশ্বের সব লিগেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের কদর। ফলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্রাভোরা। তবে শূন্য মারায় তাঁদের চেয়ে এগিয়ে ডোয়াইন স্মিথ। সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে স্মিথ ২৮ বার শূন্য হাতে ফিরেছেন। ৩২৭ ইনিংস খেলে ২৮ বার শূন্য স্মিথের। অর্থাৎ প্রায় প্রতি ১২ ইনিংসে একটা শূন্য তাঁর। আফ্রিদিরও অবশ্য প্রতি ১১.৩৫ ইনিংসে শূন্য আছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের মাঝে হার্শেল গিবস অবশ্য এ দিক থেকে অনেক এগিয়ে। ২৩ বার শূন্য হাতে ফেরা গিবসের কীর্তিটা প্রতি ৭.২৬ ইনিংসে ছিল।

কমপক্ষে ১০ ইনিংসে শূন্য পাওয়া ব্যাটসম্যানদের মাঝে অবশ্য অনন্য হয়ে আছেন বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন। টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪বার শূন্য পেয়েছেন রুবেল। অর্থাৎ একটি শূন্য বাগাতে মাত্র ২.৫ ইনিংস দরকার হয় বাংলাদেশি পেসারের। এ ক্ষেত্রে তাঁর একমাত্র সঙ্গী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান শেন শিলিংফোর্ড। মাত্র ২৫ ইনিংস ব্যাট করে ১০ বার শূন্য নিয়ে ফিরেছেন এই স্পিনার।

শূন্য

ব্যাটসম্যান

ইনিংস

শূন্য প্রতি ইনিংস

২৮

ডোয়াইন স্মিথ

৩২৭

১১.৬৮

২৭

উমর আকমল

২৪২

৮.৯৬

২৭

ক্রিস গেইল

৩৯২

১৪.৫২

২৫

কামরান আকমল

২২৯

৯.১৬

২৩

হার্শেল গিবস

১৬৭

৭.২৬

২৩

সুনীল নারাইন

১৯১

৮.৩০

২৩

তিলকরত্নে দিলশান

২১৭

৯.৪৪

২৩

লেন্ডল সিমন্স

২৩১

১০.০৪

২৩

শহীদ আফ্রিদি

২৬১

১১.৩৫