Thank you for trying Sticky AMP!!

শেষ ওভারে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

আজ দ্বিতীয় ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ।

রান রেট প্রতি ওভারেই একটু একটু করে বাড়ছিল। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের মাহমুদুল হাসান ও তৌহিদ হৃদয় চেষ্টা করেও বল আর রানের ব্যবধান কমাতে পারছিলেন না। আয়ারল্যান্ড উলভসের ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ১৫ ওভারে ইমার্জিং দলের প্রয়োজন ছিল ৯২ রান, ওভারপ্রতি ৬.১৩। এমন সময়ই মাহমুদুল আউট হন ৯৫ বলে ৬৬ রান করে। এরপর বিধ্বংসী ব্যাটিং করে ম্যাচটা নিজের করে নেন অলরাউন্ডার শামিম হোসেন। সাদা বলের আদর্শ ফিনিশারের মতো ৩৯ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতান শামিম।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচের আগের আলোচনাটা ছিল আইরিশ অলরাউন্ডার রুহান প্রিটোরিয়াসকে ঘিরে। দুই দলের প্রথম ম্যাচ শুরুর পর প্রিটোরিয়াসের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। অথচ প্রথম ম্যাচে কী দারুণ বোলিংটাই না করছিলেন এই ৩০ বছর বয়সী আইরিশ অলরাউন্ডার। কাল রাতে করোনা পরীক্ষায় দুই দলের সবাই নেগেটিভ হওয়ায় আজ দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়ায়।

সেই প্রিটোরিয়াসই আজকের ম্যাচে দেখালেন ঝলক। ব্যাট হাতে তাঁর ৯০ রানের ইনিংসটি ছিল আইরিশ ইনিংসের প্রাণ। ওপেনার জেমস ম্যাককালাম ও তিনে নামা স্টিভেন দোহেনির সঙ্গে গড়া প্রিটোরিয়াসের দুটি জুটি উলভসকে ৭ উইকেটে ২৬৩ রানে পৌঁছে দেয়। ইমার্জিং দলের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ছিলেন বোলিংয়ে বেশ মিতব্যয়ী। ১০ ওভারে মাত্র ৩৯ রানে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। পেসার সুমন খানও নিয়েছেন দুই উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে প্রত্যাশিতভাবে ইমার্জিং দলকে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান। শুরুতে বাউন্ডারি বের করে আরেক ওপেনার সাইফ হাসানের সঙ্গে ৪৪ রান যোগ করে আউট হন তিনি। সাইফ সময় নিয়ে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৭৯ রানে সাইফের বিদায়ের পর মাহমুদুল ও ইয়াসিরের ৭৭ রানের জুটি ইমার্জিং দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখে।

প্রথমে ব্যাট করে ২৬৩ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড।

এরপর দ্রুতই ইয়াসির, মাহমুদুল, তৌহিদ হৃদয় ও আকবর আলীর উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। তবে শামিম ধরে রাখেন বাংলাদেশের ভাগ্য। সঙ্গী পান সুমন খানকে। শামিম আইরিশ পেসারদের বাজে বলের পুরো ফায়দা নিয়েছেন, চার-ছক্কায় রান রেট রেখেছেন নাগালে। তবে ৩৯ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ৫৩ রানের ইনিংসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় নেওয়া এক-দুই রান নেওয়ার দক্ষতা।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ৯ মার্চ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে। ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ (১২ ও ১৪ মার্চ) হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১৭ ও ১৮ মার্চ দুটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হবে আইরিশদের সফর।