Thank you for trying Sticky AMP!!

রানের জন্য ছুটছেন মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ।

শ্রীলঙ্কাকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দিলেন তামিম–মুশফিকরা

মুশফিকুর রহিমের ইনিংসটা আক্ষেপ হয়েই রইল। এমন দুর্দান্ত একটা ইনিংস, কিন্তু শেষ হলো রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে। নয়তো তাঁর ৮৭ বলে ৮৪ রানের ওপর দাঁড়িয়েই যে বাংলাদেশের ইনিংস। তামিম ইকবাল ফিফটি পেয়েছেন, ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহও। কিন্তু মুশফিক যে তাঁর ব্যাটে ইনিংসের গতিপ্রকৃতি ঠিক করে দিয়েছেন। তাঁর ইনিংসেই যে বাংলাদেশের সংগ্রহটা (৭ উইকেটে ২৫৭) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে শ্রীলঙ্কানদের।

ফিফটি করার পথে দুর্দান্ত কিছু শট খেলেছেন তামিম ইকবাল

শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লিটন দাস ওয়ানডেতে তাঁর ফর্মের ‘ধারাবাহিকতা’ রক্ষা করেছেন আজকের ম্যাচেও। দুষ্মন্ত চামিরার বল খোঁচা দিয়ে প্রথম স্লিপে যখন তিনি ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দেন, স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান বাংলাদেশের। ভালো শুরুর লক্ষ্য নিয়ে ধাক্কা খেলেন তামিম ইকবালরা। তামিম অবশ্য লিটনকে হারানোর ধাক্কাটা ভালোই সামলেছেন তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন তাঁরা। নেতৃত্বটা দিয়েছেন অবশ্যই তামিম। বেশ কিছুদিন বিরতির পর জাতীয় দলের জার্সিতে নেমে কিছুটা খোলসবন্দীই ছিলেন সাকিব। তবে উইকেটে থিতু হতে হতেই গুনাতিলকার বলে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেলেন সাকিব। তিনি ফেরেন ৩৪ বলে ১৫ রান করে।

৮৭ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।

তামিম অবশ্য হাল ছাড়েননি। দেখে শুনে খেলে ফিফটি পেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ৫২ রান করেছেন ৭০ বল খেলে। এই জায়গায় তামিম লঙ্কান বোলারদের ওপর আরও প্রভাব বিস্তার করবেন—প্রত্যাশা ছিল এমনই। তিনি আউট হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই রিভিউ কাজে লাগেনি। আউট হওয়ার আগে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫৬ রানের একটি জুটি গড়েস তিনি।

তামিমের ফেরার পর দ্রুতই তাঁকে অনুসরণ করেন মোহাম্মদ মিঠুন। তামিমের পরপর মিঠুনের ফেরাটা বাংলাদেশকে বেশ বিপদে ফেলে দিয়েছিল। স্কোরবোর্ডে তখন ১০০ রানও ওঠেনি। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস পথ হারাবে কি না সে শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু ভরসা হয়ে ছিলেন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই শঙ্কা দূর করেন ১০৯ রানের জুটি গড়ে। মূলত এই জুটিই বাংলাদেশকে নিয়ে যায় লড়াকু স্কোরের দিকে। ৮৪ রান করেন মুশফিক। এমন একটা ইনিংস খেলেও সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারলেন না—এই আক্ষেপ থেকে যাচ্ছে। মাহমুদউল্লাহ আউট হন ৭৬ বলে ৫৪ রান করে। আফিফের সঙ্গে তিনি যোগ করেন ২২ রান। দলে জায়গা পেয়ে আফিফ নিজের কাজটা ভালোই করেছেন। শুরুর দিকে ব্যাটে–বলে লাগাতে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষটা করেছেন ভালোই। ৩ বাউন্ডারিতে ২২ বলে ২৭ রান করেছেন তিনি। সাইফউদ্দিন ৯ বলে করেছেন ১৩। তিনি মেরেছেন ২ বাউন্ডারি

শ্রীলঙ্কার পক্ষে সেরা বোলার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট দুষ্মন্ত চামিরা ও দানুষ্কা গুনাতিলকার।