Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্রীলঙ্কার অর্ধেক রানও করতে পারল না ইংল্যান্ড

বৃষ্টি হানা দেওয়ায় মাঠ ছাড়ছেন টম কারেন ও লিয়াম প্লাঙ্কেট। হার এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড ছবি: এএফপি
>কলম্বোয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিলেও ডি/এল নিয়মে ২১৯ রানের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার

সিরিজের শুরু থেকেই ভূমিকা রেখেছে বৃষ্টি। প্রথম ম্যাচ তো পণ্ডই হয়েছে। আজ শেষ ম্যাচেও বৃষ্টি হানা দেওয়ার অল আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। তাই বলে বৃষ্টিও পারেনি ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার এড়াতে। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ডি/এল নিয়মে ২১৯ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড।

আগের তিন ম্যাচেই হেরে সিরিজ খোয়ানো লঙ্কানরা আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের পাহাড় গড়েছিল। ৬ উইকেটে ৩৬৬। সেঞ্চুরি ছাড়াই চারটি ফিফটি রানের ইনিংসে ভর করে এই বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল দিনেশ চান্ডিমালের দল। তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরুতেই পথভ্রষ্ঠ—৪ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট! সেখান থেকে ৪ উইকেটে ২৮। এরপর আর লড়াই থাকে? পঞ্চম উইকেটে মঈন আলী ও বেন স্টোকসের ৭৯ রানের জুটিতে এক শ পার হয়েছে ইংল্যান্ড। ১০৭ রানে মঈন (৩৭) ফিরলে পরবর্তী ২৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছে সফরকারি দল। বেন স্টোকস ফিরেছেন ৬৭ রানে। ২৭তম ওভারের প্রথম বলে লিয়াম প্লাঙ্কেটকে তুলে নেন আকিলা ধনঞ্জয়া। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৯ উইকেটে ১৩২। এরপরই অঝোরে বৃষ্টি নামলে ডি/এল নিয়মে শ্রীলঙ্কাকে ২১৯ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

ধনঞ্জয়া (৪/১৯) ও দুষ্মন্ত চামারার (৩/২০) বোলিংয়ে সান্ত্বনার এই জয় পেল শ্রীলঙ্কা। সান্ত্বনার কারণ—সিরিজ হার আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এই জয়ে হারের ব্যবধানটা স্রেফ কমল (৩-১)। লঙ্কানরা খুশি হতে পারে এই ভেবে যে, বৃষ্টি হানা না দিলে ইংল্যান্ড হয়তো তাঁদের ইনিংসের অর্ধেক রানও করতে পারত না। ১৯৯৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬৫ রানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ২০০৫ সালে করাচিতে তাঁরা একই ব্যবধানে হারে পাকিস্তানের কাছে। ১৬৫ রান ব্যবধানে হারের সেই রেকর্ডটা আজ নতুন করে লিখতে বাধ্য হলো ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডার।

তার আগে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই সাড়ে তিন শ-র ওপরে রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৯৫ রান এসেছে নিরোশান ডিকভেলার ব্যাট থেকে। এ ছাড়াও আরও তিনটি ফিফটি— সাদেরা সামারাবিক্রমা(৫৪), অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল (৮০) ও কুশল মেন্ডিস (৫৬)।