Thank you for trying Sticky AMP!!

সবুজে সাড়া ইবাদত-জায়েদের

আবু জায়েদ এ ইনিংসেও এনে দিয়েছেন ব্রেক–থ্রু। ছবি: প্রথম আলো

রাসেল ডমিঙ্গো একটি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। পরিবর্তনটা হচ্ছে, ‘ঘরের মাঠে ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে খেলব না! খেলা চাই স্পোর্টিং উইকেটে।’ ডমিঙ্গোর ডাকে সাড়া দিয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা।

ডমিঙ্গো চেয়েছিলেন কিছুটা সবুজাভ উইকেটে দিনের প্রথম সেশনে তোপ দাগবেন তাঁর দুই পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের সকালে আবু জায়েদ আর ইবাদত হোসেন খুব একটা হতাশ করেননি কোচকে। সবুজ উইকেটের আবেদনে সাড়া দিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ভালোই অস্বস্তিতে রেখেছেন তাঁরা।

গত কদিনে যতটা সবুজ দেখা গিয়েছিল মিরপুরের চার নম্বর উইকেট, আজ অতটা না হলেও প্রেসবক্স থেকেও উইকেটের সবুজ ভাবটা বোঝা যাচ্ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সবুজ হয়তো ফিকে হয়ে আসবে। উইকেটে থাকা হালকা ঘাসের সুবিধাটা তাই পেসারদের সকাল সকালই নিয়ে নিতে হতো। প্রথম সেশনে জিম্মাবুয়ের মাত্র একটি উইকেট ফেলা গেলেও সেই সুবিধা মোটামুটি ভালোই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশ দলে দুই পেসার ইবাদত ও আবু জায়েদ।

আর ১/২টি উইকেট নিতে পারলে হয়তো সেশনটা পুরোপুরি বাংলাদেশের বলা যেত। তবু জিম্বাবুয়ের ১ উইকেটে ৮০ রানের স্কোরই বলে দিচ্ছে ইবাদত–আবু জায়েদকে খুব একটা স্বচ্ছন্দেও খেলতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের বেশিরভাগ সময়ে এলেমেলো লাইন–লেংথে বোলিং করা ইবাদত মিরপুর টেস্টের প্রথম সেশনে সুশৃঙ্খল বোলিংই করেছেন। প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ৩ মেডেনে ৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভারে দিয়েছেন ৮ রান। এটিতেও অবশ্য উইকেটশূন্য।

আরেক পেসার জায়েদ আরও একবার এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। নাইম হাসানের ক্যাচে পরিণত করে জিম্বাবুইয়ান ওপেনার কেভিন কাসুজাকে ফেরান মাত্র ২ রানে। ৬ ওভারে ৩ মেডেন, ৮ রান দিয়ে জায়েদ পেয়েছেন প্রথম সেশনের একমাত্র উইকেটটি। দুই পেসারের কারও ইকোনমি ২–এর ঘরেও পৌঁছায়নি।

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ নিজেদের সবশেষ দুই টেস্টেও (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে) খেলেছে স্পিনসর্বস্ব বোলিং আক্রমণ নিয়ে। চার স্পিনার খেলিয়ে রেকর্ড বইয়েও নাম তুলেছে। এই কৌশলে বাংলাদেশ যে শতভাগ সফল, তাও নয়। দেশের মাঠে খেলা নিজেদের সর্বশেষ ১১ টেস্টের ১০টিতেই স্পিননির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্টে ধারাবাহিক ভালো করতে কৌশলটা যে খুব বেশি ফলপ্রসু নয়, সেটি উপলব্ধি করেই ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘যদি দেশের মাঠে শুধু ঘূর্ণি উইকেটে খেলে যাই, বাইরে ভালো করতে পারব না। আমাদের তাই ভালো উইকেটে খেলা চাই।’