Thank you for trying Sticky AMP!!

সরফরাজকে এবার ধুলেন আকিব জাভেদ

দিনকাল ভালো যাচ্ছে না সরফরাজের, নেতৃত্বটা টিকবে তো? ছবি: টুইটার
>ভারতের কাছে হারের পর বিভিন্ন দিক থেকে ধেয়ে আসা সংবাদ এবং মন্তব্যে নাকাল পাকিস্তান দল। পূর্বসূরিরা যেন নিয়ম করেই ধোলাই দিচ্ছেন অধিনায়ক সরফরাজকে। এ দলে এবার যোগ দিলেন সাবেক পেসার আকিব জাভেদ।

বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সাত বারের দেখায় একবারও জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। পাকিস্তানিরা সব সহ্য করতে পারে, কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হার! কখনো নয়! সাবেক ক্রিকেটাররা প্রায় সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে। সবাই ধুয়ে দিচ্ছেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য, সাবেক পেসার আকিব জাভেদ মনে করেন সরফরাজ একজন অযোগ্য অধিনায়ক। তাঁর পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব পাওয়াটা দুর্ঘটনাবশত।

সে তুলনায় কমই বলেছেন আকিব। সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার তো তাঁর বুদ্ধিবৃত্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন সরফরাজ একজন ‘ঘিলু’হীন দলনায়ক। আকিব মনে করেন, অধিনায়ক হওয়ার মতো ব্যক্তিত্বই নেই পাকিস্তান দলের বর্তমান অধিনায়কের।

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জয় পেয়েছে পাকিস্তান। পয়েন্ট তালিকায় তাদের যা অবস্থান, তাতে করে সাবেকদের সমালোচনার কোনো জবাব নেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কাছে। দলে শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও দেখা দিয়েছে। শোয়েব মালিকের সপরিবার সিসা বারে যাওয়া এবং ড্রেসিং রুমে দলাদলির খবর চাউর হয়েছে গণমাধ্যমে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাকিস্তানি বোলাররা যখন নাকাল তখন উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক সরফরাজের ‘হাই’ তোলার সেই দৃশ্য মাথা হেঁট করে দিয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীদের।

দলের ওপর সরফরাজের কর্তৃত্ব নেই বলেই মনে করেন আকিব, ‘সরফরাজ খুব দুর্বল একজন অধিনায়ক। ব্যক্তিত্বেও সমস্যা আছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে দলের ওপর তার কোনো কর্তৃত্ব নেই। ইনজামামের (প্রধান নির্বাচক) সামনেও নিজের মতামতটা ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারে না। ২০১৫ সাল থেকে দলে নিজের জায়গাটিকে পোক্ত করতে পারেনি সে। প্রতিটি বিশ্বকাপের পর দলে আমূল পরিবর্তন করে ক্রিকেট বোর্ড, আর সেই পরিবর্তনের ঝোঁকেই তার নেতৃত্ব পাওয়া।’

২০১৭ সালে নাটকীয় ভঙ্গিতে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু তারপর থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মাঝে ক্রিকেটীয় দূরত্বটা কেবল বেড়েছে বলেই মনে করেন  পাকিস্তানের হয়ে ১৬৩ ওয়ানডে খেলা এই পেসার, ‘২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের পর থেকে পাকিস্তান বোলার মতো কিছুই করতে পারেনি। আর এই সময়টায় ভারত পাকিস্তানের চেয়ে ক্রিকেটের তিন বিভাগেই অনেক এগিয়ে গেছে। ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের স্কিলের পার্থক্যটাও চোখে পড়ার মতো।’

আগামী ২৩ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচটা বাঁচা-মরার। তার আগে সাবেকদের কটু মন্তব্যগুলো দলকে তাতিয়ে দেয় না ডুবিয়ে দেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।