Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ভয়ঙকর দুঃসংবাদ হয়েই এসেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটে।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞা যেভাবে ধাক্কা দিয়েছিল সবাইকে

২৯ অক্টোবর ২০১৯। সন্ধ্যা হতে বেশি সময় বাকি নেই। সবার অপেক্ষা সাকিব আল হাসানের জন্য। কখন আসবেন সাকিব? কী বলবেন তিনি? বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও বোর্ড পরিচালকেরা দুপুর থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে অপেক্ষমাণ। সাংবাদিকদের বিশাল বহরের অপেক্ষা তো সেই সকাল থেকে। সাকিব নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন। দিন যত গড়ায়, গুঞ্জনটা তত ভিত পেতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে আসে আইসিসির ঘোষণা-ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা না জানানোর অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব।

সামনেই ছিল বাংলাদেশ দলের ভারত সফর। ভারতে একটি সফর পেতে কতই না কাঠখড় পোড়াতে হয় বিসিবিকে! এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সফরের আগেই কিনা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অপ্রত্যাশিত ধাক্কা! সাকিব ছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। হুট করে তাঁর নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিপদেই ফেলে দিল বিসিবিকে। নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে। কিন্তু হাতে বেশি সময় নেই।

সেদিনই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান টেস্ট অধিনায়ক করেন মুমিনুল হককে, টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব বর্তায় মাহমুদউল্লাহর ওপর। ভারতে গোলাপি বলের টেস্ট খেলার সিদ্ধান্তও হয় সেই সন্ধ্যায়ই।

এক বছর আগে এমনই এক সংবাদ সম্মেলনে দাঁড়িয়েই নিজের ভুল স্বীকার করেছিলেন সাকিব।

তখনো সাকিব আসেননি। এক-একটি মিনিট সময় যেন ঘণ্টার চেয়েও বেশি দীর্ঘ। মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে সাকিব-ভক্তদের স্লোগান। যার মূল বক্তব্য-‘সাকিব ষড়যন্ত্রের শিকার’। সপ্তাহ দুই আগে সাকিবের নেতৃত্বে ১৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন ক্রিকেটাররা। দাবি না মানলে ক্রিকেটাররা মাঠে না নামার হুমকি দেন। দুই দিনের মধ্যে বিসিবির সঙ্গে একটা সমঝোতায়ও পৌঁছে যান তাঁরা। কিন্তু আবেগাক্রান্ত সাকিব-সমর্থকদের ধারণা ছিল, আন্দোলন করায় বিসিবিই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলছে।

ভক্তরা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটে অপেক্ষায় থাকলেও সাকিব স্টেডিয়ামে ঢোকেন ৪ নম্বর গেট দিয়ে। সাদা বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা সাকিবকে দেখে মনে হচ্ছিল তাঁর ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ২২ গজে থাকা আত্মবিশ্বাসের ছিটেফোঁটাও সেদিন সাকিবের মধ্যে ছিল না। কিছুক্ষণ পর বিসিবি সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েই নিজের ভুল স্বীকার করেন সাকিব। প্রতিশ্রুতি দেন শক্তভাবে ফেরার।

এরপর এই এক বছরে সাকিব একবারও যাননি শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। কাল থেকে ‘মুক্ত’ সাকিব চাইলেই ফিরতে পারবেন তাঁর প্রিয় মাঠে।