Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকিবের রাতারাতি পরিবর্তনের 'রহস্য'

দুই সাকিব আল হাসানকে একদমই মেলানো যায় না। কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলের সাকিব আর আজকের সাকিবে আকাশ-পাতাল পার্থক্য! কাল দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও বাঁহাতি অলরাউন্ডারের প্রায় প্রতিটি বলে চালিয়ে খেলা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে। সমালোচনার সেই কাঁটাকে আজ প্রশংসার কুসুম বানিয়েছেন সাকিব, বাংলাদেশের শততম টেস্টে করেছেন সেঞ্চুরি। একটা রাত কত বদলে দিয়েছে তাঁকে!

আগের দিন ৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত সাকিব আজ এগিয়েছেন ধীর-লয়ে। ঝুঁকি নেন, অপ্রয়োজনীয় শটও খেলেননি। ঠান্ডা মাথায় টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ডের পাতায়। দেশের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা মাত্র অষ্টম ব্যাটসম্যান তিনি। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিব খানিকটা উন্মোচন করলে তাঁর খেলার ধরন বদলে ফেলার রহস্য, ‘কাল যেহেতু অপরাজিত ছিলাম রাতে চিন্তা করার সময় ছিল। কীভাবে এগোলে ভালো হয় সেটা নিয়ে ভেবেছি। বিশেষ করে (দিনেশ) চান্ডিমাল যেভাবে ব্যাটিং করেছে। ওদের প্রথম ইনিংস থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। এটা অনেক সহায়তা করেছে।’
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করাটা অবশ্যই বিশেষ কিছু। সেটি তাঁকে আনন্দ দিচ্ছেও। তবে সাকিব বেশি তৃপ্তি পাচ্ছেন দলের জন্য কিছু করতে পেরে, ‘প্রতিটা সেঞ্চুরিই আমার কাছে বিশেষ কিছু। শততম হোক, প্রথম কিংবা আমার শেষ-দলের জন্য অবদান রাখতে পারি কি না সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ৭৫ রানে। সাকিব মনে করেন কলম্বো টেস্ট এখন ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে তাঁর কল্পচোখ বলছে ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে দেবে কালকের সকালের সেশনটাই, ‘আমার কাছে মনে হয় এই টেস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটা কালকের প্রথম সেশন। কাল প্রথম সেশন যদি ওরা ভালো ব্যাটিং করে ম্যাচটা আমাদের থেকে দূরে সরে যেতে পারে। আর আমরা যদি কিছু উইকেট নিতে পারি ম্যাচ আমাদের পক্ষেও আসতে পারে।’
শঙ্কাটা এখানেই জাগছে। ওয়েলিংটন, ক্রাইস্টচার্চ, হায়দরাবাদ কিংবা সর্বশেষ গল-প্রতিটি টেস্টেই সম্ভাবনা জাগিয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। কলম্বো টেস্টে সেটির পুনরাবৃত্তি হবে না তো? এই বাস্তবতা ভালোই জানা সাকিবের। তবে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে তিনি আশাবাদী, ‘গত কিছুদিন যেটা হচ্ছে একটা ইনিংসে আমরা ভালো করি, আরেকটায় খারাপ। এখন মনোযোগ থাকবে বাকি দুটি ইনিংসে যেন বোলিং-ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারি। এ বছরটা যদি দেখেন, প্রতিটি ম্যাচে ভালো অবস্থায় থেকেও সেটি ধরে রাখতে পারিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পাঁচ দিন ভালো খেলতে হয়। এটা সহজ নয়। আমরা এতে অভ্যস্তও নই। এই জায়গাগুলোতে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের।’