Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকিব-আফ্রিদির বোলিং ঝলকে ফাইনালে ঢাকা

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঢাকাকে ফাইনালে তোলার দুই নায়ক সাকিব-আফ্রিদি। ছবি: প্রথম আলো

যে দল জিতবে, নাম লেখাবে ফাইনালে। এমন একটা বড় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে গুঁড়িয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠল ঢাকা ডায়নামাইটস। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৯১ রান তুলেছিল সাকিব আল হাসানের দল। জবাবে কুমিল্লা অলআউট হয়েছে মাত্র ৯৬ রানে! প্রথম কোয়ালিফায়ার এ ম্যাচে ৯৫ রানের দাপুটে জয়ে ঢাকা ফাইনালে উঠল সবার আগে। বিপিএলের ইতিহাসে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।

তবে কুমিল্লার ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকছে। রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের দল। এ ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে ঢাকার মুখোমুখি হবে। তবে আজকের ম্যাচে কুমিল্লার সুযোগ ছিল ফাইনালে ওঠার। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিমের দল পথচ্যুত হয়েছে প্রথম ওভার থেকেই!
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে লিটন কেন মোসাদ্দেকের হাতে লোপ্পা ক্যাচ তুলে দিলেন, সেটা শুধু তিনিই বলতে পারবেন। পরের ওভারে জশ বাটলারকেও তুলে নেন ঢাকা অধিনায়ক সাকিব। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা কুমিল্লার স্কোর ছিল একপর্যায়ে ১২.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ৭১! ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল কিংবা মারলন স্যামুয়েলসদের কেউ দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি।
১৩তম ওভার থেকে কুমিল্লার হাল ধরেন হাসান আলী ও মেহেদী হাসান। কিন্তু দল ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে। হাতে মাত্র ২ উইকেট রেখে কুমিল্লা যে তখন ৪৫ বলে ১২১ রানের অনতিক্রম্য দূরত্বে পিছিয়ে! তবে এখান থেকে দলের স্কোরকে কিছুটা ভদ্রস্থ করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ১৬.১ ওভারে দলীয় ৯৫ রানে ফিরে যান হাসান (১৬)। শেষ পর্যন্ত এক শ-ও টপকাতে পারেনি কুমিল্লা। ২০১৩ বিপিএলে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ১১৯ রানে জিতেছিল চিটাগং কিংস। আসরটিতে এটাই সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। এবার রাজশাহী কিংসের বিপক্ষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৯৯ রান) ব্যবধানের জয় পেয়েছে ঢাকা। আজ তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়টাও নিজেদের করে নিল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।
তার আগে ঢাকার ইনিংসকে শুরুতে টেনেছেন এভিন লুইস। ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাঝে ৩২ ও ৩১ রানের দুটি কার্যকর ইনিংস খেলেছেন যথাক্রমে জো ডেনলি ও কাইরন পোলার্ড। তবে ঢাকার ইনিংসকে দুই শ-র স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। ৪ ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রান করেন তিনি। ঢাকার হয়ে বল হাতেও আফ্রিদি সেরা। তামিম, ডোয়াইন ব্রাভো আর আল-আমিনকে তুলে নেন পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার। ঢাকার হয়ে ২টি করে উইকেট মোসাদ্দেক ও সাকিবের।