Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকিব আবেগি হয়েই ওটা বলেছিলেন...

সাকিব আবেগী হয়েই অধিনায়কত্ব নিয়ে অমন কথা বলেছিলেন, বললেন বিসিবি সভাপতি। ছবি: প্রথম আলো
>সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব না করতে পারলে তাঁর ভালো হয়। কিন্তু বিসিবি এ নিয়ে কী ভাবছে?

অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন না সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রাম টেস্টে পরিষ্কার জানিয়েছেন, অধিনায়কত্ব না করতে পারলেই তাঁর ভালো হয়। বিসিবি অবশ্য বলছে, সংবাদমাধ্যমে বললেও সাকিব অধিনায়কত্ব নিয়ে সরাসরি তাদের কিছু জানায়নি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সাকিবের সঙ্গে বসেছিলেন বিসিবির সভাপতি। সেখানে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার কিছুই বলেননি বলে দাবি নাজমুলের। তবে বিসিবিপ্রধান পুরোনো কথাটাই আবার বললেন, টেস্টের প্রতি সাকিবের আগ্রহ কম, ‘এটি ঠিক যে আমরা দেখছি টেস্টের ব্যাপারে বেশ কিছু দিন থেকে ওর আগ্রহ তেমন নেই। বিশেষ করে আপনারা যদি দেখেন দল যখন বাইরে যাচ্ছিল তখন টেস্টের সময় সে একটু বিরতি চায়। ওর হয়তো আগ্রহটা কম (টেস্টে)। তবে কখনো শুনিনি যে অধিনায়কত্ব নিয়ে ওর আগ্রহ কম আছে। অধিনায়ক হলে তো টেস্ট খেলতেই হবে। অধিনায়ক না হলে না খেলেও পারা যায়। এই কারণে হয়তো অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গে এসেছে।’

অধিনায়কত্ব নিয়ে সাকিব যা–ই ভাবুন, দলের নেতা হিসেবে এই মুহূর্তে তাঁর বিকল্প কাউকে দেখছেন না নাজমুল, ‘সে অনেক সার্ভিস দিয়েছে, আমরা মনে করি সে হচ্ছে সেরা অধিনায়ক। আমাদের হাতে যে বিকল্প আছে তাদের মধ্যে সে–ই সেরা। অধিনায়কত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত সে আমাদের কিছু বলেনি, সংবাদমাধ্যমে বলেছে যে যদি থাকি কিংবা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে, এই ধরনের কথা। যেহেতু এখন একটি সিরিজ চলছে, আমার মনে হয় এখনই এটি নিয়ে কথা বলা উচিত না। সে যদি প্রসঙ্গ তুলত তাহলে অবশ্যই আলোচনা করতাম।’

বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করছে না, অথচ সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন। বিসিবি সভাপতি মনে করেন, অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে সাকিব যা বলেছেন সবই আবেগতাড়িত হয়ে, ‘ও (সাকিব) আমাদের সঙ্গে যখন বলবে, তখন আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে বলব। হয় কী, মন-টন খারাপ থাকে। হঠাৎ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারল, আর আমাদের ছেলেরা তো একটু ইমোশনাল। ঠান্ডা মাথায় যা বলার বলব, যদি সে (এটা নিয়ে) বলে।’