Thank you for trying Sticky AMP!!

সাকিব জ্বালাটা ফিরিয়ে দিলেন কার্তিককে?

>
এভাবেই কাল সাকিবদের বিপক্ষে হতাশায় পুড়লেন দিনেশ কার্তিক। ছবি: এএফপি

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের সঙ্গে এই ম্যাচের তুলনা করা যাবে না। তবু সাকিবের ক্ষতে একটু প্রলেপ তো পড়ল। যে কার্তিক কলম্বোয় হতাশায় পুড়িয়েছিলেন সাকিবকে, সেটিই যেন কাল ইডেন গার্ডেনে ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের সঙ্গে এই ম্যাচের তুলনা করা যাবে না। একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল, আরেকটি আইপিএলের কোয়ালিফায়ার। তবে কিছু ছবি ঠিকই মিলে যায়। পার্থক্য শুধু চরিত্রে। ১৮ মার্চ প্রেমাদাসায় সৌম্য সরকারকে শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতকে ট্রফি জিতিয়ে আনন্দে ভাসালেন দিনেশ কার্তিক। সাকিব আল হাসানের মুখে তখন রাজ্যের হতাশা, তাকিয়ে রইলেন শূন্য দৃষ্টিতে। 

কাল একই হতাশায় পুড়লেন দিনেশ কার্তিক। দ্রুত আউট হয়ে হাঁটু গেড়ে নত মাথায় বসেই পড়লেন। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে বিপরীত অভিজ্ঞতা। যিনি কলম্বোয় আনন্দে ভেসেছিলেন, কাল তিনিই নিদারুণ হতাশ! দলকে নিয়ে যেতে পারেননি ফাইনালে। পরাজয়টা আবার নিজেদের দর্শকদের সামনে, ইডেন গার্ডেনে।

নিদাহাস ট্রফির দহনটা হয়তো এত দ্রুত সাকিবের নিভবে না। তবে ‘প্রতিশোধে’র একটা পর্ব তো শেষ হলো। ভারতীয় ক্রিকেটে নিজেকে আরেক ‘ফিনিশার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় কার্তিক। কালও ম্যাচটা ছোঁ মেরে নিজেদের দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন কার্তিক। ৪৯ বলে দরকার ছিল ৬৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে কী এমন কঠিন সমীকরণ!

কলকাতার সামনে সেই সমীকরণটাই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে গেল। কঠিন হয়ে গেল কার্তিক মাত্র ৮ রানে ফিরে যাওয়ায়। কে ফেরালেন? সাকিব আল হাসান। একটু জায়গা করে নিয়ে সাকিবকে কাট করতে চেয়েছিলেন কলকাতা অধিনায়ক। বোল্ড! কার্তিককে ফিরিয়ে সাকিবের উদ্‌যাপনটাও হলো দেখার মতো। যেন জমে থাকা জ্বালা খানিকটা জুড়োলেন কার্তিককে আউট করে! গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা হারিয়ে যে ধাক্কাটা খেয়েছে কলকাতা, পরে সেটি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৮ রান করা কলকাতা কার্তিককে হারানোর পর শেষ পর্যন্ত তুলতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৬০। হেরেছে ১৪ রানে।

ইডেনে আগের দল কলকাতাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন। কার্তিককে হারিয়েছেন। এক ম্যাচে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন—এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারেন সাকিব!