Thank you for trying Sticky AMP!!

সিরিজ জয়ের ম্যাচে ইংলিশদের যত রেকর্ড

জনি বেয়ারস্টো ও আদিল রশিদ। ছবি: এএফপি
আদিল রশিদ ও জনি বেয়ারস্টোর অর্জনের দিনে সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ডও।

লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ২১৩ রানের। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরু করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল আয়ারল্যান্ডকে হেসে খেলেই উড়িয়ে দেবে ইংল্যান্ড। সেটা অবশ্য হয়নি। বেয়ারস্টোর ঝোড়ো ফিফটির পর মিডল অর্ডারের ধসে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত সেই বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন স্যাম বিলিংস ও ডেভিড উইলি। আর তাতেই ৪ উইকেটে ম্যাচটা জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল এউইন মরগানের দল। সাউদাম্পটনের রোজ বোলে সিরিজ জয়ের ম্যাচটা সাক্ষী হয়ে থাকল ইংলিশ ক্রিকেটারদের অনেকগুলো অর্জনেরও।

তাড়া করতে নেমে বেয়ারস্টো খেলেছেন ৪১ বলে ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ১৪ চারের সঙ্গে ছক্কা দুটি। ফিফটি করেছেন মাত্র ২১ বলে। ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে এসে বসেছেন অধিনায়ক মরগানের পাশে। ২০১৮ সালের জুনে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩০ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ২১ বলে ফিফটি করেছিলেন মরগান।

দুর্দান্ত এই ইনিংসের পথেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন বেয়ারস্টো । ৭২ ইনিংস লেগেছে তার এই মাইলফলক ছুঁতে। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ডেও জো রুটের পাশে বসেছেন বেয়ারস্টো। এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৭৯ রান করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিলিংস (৪৬*) ও উইলি (৪৭*)।

এর আগে আইরিশদের ২১২ রানে আটকে রাখায় বড় ভূমিকা রেখেছেন ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ। ১০ ওভার বল করে ৩৪ রানে নিয়েছেন আইরিশদের ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে ১৫০ বা এর বেশি উইকেট নেওয়া পঞ্চম বোলার রশিদ। তবে তাঁর আগে এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি আর কোনো ইংলিশ স্পিনার। রশিদের সামনে থাকা চার ইংলিশ পেসার হচ্ছেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (১৬৮), স্টুয়ার্ট ব্রড (১৭৮), ড্যারেন গফ (২৩৪) ও জেমস অ্যান্ডারসন (২৬৯)।