Thank you for trying Sticky AMP!!

সুযোগ হাতছাড়া করার এক ম্যাচ

লড়াই করলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি

‘জয়’ বারবার ডেকেছে। কিন্তু বাংলাদেশ দল বারবারই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তিন তিনটি রানআউটের সুযোগ তৈরি হলো এবং তিনটিই ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠল বোলিং নিয়েও। ২৪৪ রান করে ম্যাচ জিততে বোলিংটাকে যে রকম আক্রমণাত্মকভাবে সাজানো উচিত ছিল, সেটি কি করেছে বাংলাদেশ দল?

বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে শুরুতে এক ওভার বল করিয়েই থামিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। পরে আবার এনেছেন ১৯তম ওভারে। এই সময়ে সাকিব আল হাসান করে ফেলেন সাত ওভার। ম্যাচ শেষে অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাশরাফি, ‘সাকিবকে তখন এনেছি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল বলে, বলও ভালো গ্রিপ করছিল। ভাবলাম সাকিব এটা ভালো কাজে লাগাতে পারবে। ওই সময় টেলর-উইলিয়ামসনের জুটিটা ভাঙা দরকার ছিল। সাকিবকে দিয়ে সে জন্যই লম্বা স্পেল করিয়েছি। ওই সময় আমরা একটা উইকেট চাচ্ছিলাম।’

কিন্তু ব্রেক থ্রু তো মোস্তাফিজও দিতে পারেন! সাকিবের স্পিনেও যখন কাজ হচ্ছিল না, চেষ্টাটা তো এক প্রান্ত থেকে বাঁহাতি পেসারকে দিয়েও করানো যেত। সেটি না করানোর ব্যাখ্যায় অধিনায়কের কথা, ‘আমরা চেয়েছি তার হাতে যতটা সম্ভব পুরোনো বল দিতে। পুরোনো বলেই ও বেশি কার্যকর। গত ম্যাচেও আমরা সেটা দেখেছি।’

কাঁধের চোট পুরোপুরি সেরে না ওঠায় মাহমুদউল্লাহর এখনো বোলিং করতে মানা। কাল তাঁর বোলিংটাও মিস করেছেন মাশরাফি। করবে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ জুনের ম্যাচেও। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে অধিনায়কের বিশ্বাস, ওভালের মতো কার্ডিফের উইকেটেও স্পিনাররা কিছু সাহায্য পাবেন। সঙ্গে কালকের ম্যাচে দলের মধ্যে থাকা লড়াইয়ের মানসিকতাটাও চান তিনি, ‘ওরা যখন ৮ উইকেট হাতে রেখেই ৯২-৯৩ রান করে ফেলল, তখনো আমরা আশা ছেড়ে দিইনি। আমাদের শরীরীভাষায়ই সেটি ফুটে উঠেছে। সবাই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছে ম্যাচ জিততে।’

কিন্তু সে চেষ্টা কাজে লাগেনি। লাগার কথাও নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ২৪৪ রানের পুঁজিকে মাশরাফিই ওভালে যথেষ্ট মনে করেন না। এই রানের পুঁজি নিয়ে যদি আবার একটার পর একটা সুযোগও হাতছাড়া হয়, ম্যাচ জেতার আশাটাও যে শেষ হয়ে যায় তার সঙ্গে!