Thank you for trying Sticky AMP!!

সেই 'খুনি'কে এখনো খুঁজছেন নরেন্দ্র হিরওয়ানি!

প্রভাত কি সব সময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয়? কখনো দেয়, কখনো দেয় না। ক্রিকেটও এমনই। দুঃস্বপ্নের মতো শুরুর পরও যেমন আলো ছড়ানোর গল্প আছে, তেমনি হইচই ফেলে দেওয়া আবির্ভাবের পর পথ হারিয়ে ফেলারও। এসব গল্প নিয়েই নতুন এই ধারাবাহিক শুরু করলেন উৎপল শুভ্র
নরেন্দ্র হিরওয়ানি: টেস্ট অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েও মাত্র ১৭ টেস্টে শেষ ক্যারিয়ার । সংগৃহীত ছবি

নরেন্দ্র হিরওয়ানি এখনো সেই 'খুনি'কে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ক্রিকেট-জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলেন না। ছেলে মিহির হিরওয়ানিকেও না। মিহির বাবার মতোই লেগ স্পিনার। মধ্য প্রদেশের হয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেন। বাবার কীর্তি নিজের চোখে দেখার সুযোগ হয়নি। নরেন্দ্র হিরওয়ানি যখন শেষ টেস্ট খেলেছেন, তখন তিনি মাত্র তিন বছরের শিশু। অন্যদের মুখে বাবার গল্প শুনে মিহির ইউটিউব দেখেন। দেখলে তো ১৯৮৮ সালের জানুয়ারির সেই চেন্নাই টেস্টই দেখবেন। যে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অমর করে রেখেছে তাঁর বাবাকে।

ইউটিউব দেখে হিরওয়ানির বোলিং কিছুই বোঝা যায় না। সেই যুগের দূরদর্শনের সম্প্রচার। ফিল্মটাও ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি। ঝাপসা-ঘোলা ছবি। হিরওয়ানির চোখের চশমাটা পর্যন্ত পরিষ্কার বোঝার উপায় নেই। কোনটা লেগ ব্রেক, কোনটা গুগলি, এটা কি তাহলে টপ স্পিনার ছিল না ফ্লিপার....অনুমান করেই সব বুঝে নিতে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যে তখনো বোঝেননি, সেটি অবশ্য আপনি বুঝতে পারবেন। একের পর এক ব্যাটসম্যানের ফিরে আসার মিছিল আর হিরওয়ানিকে ঘিরে ভারতীয়দের উল্লাস দেখে।

প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসেও ৮। ম্যাচে ১৩৬ রানে ১৬ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে ভালো ম্যাচ-ফিগার আছে মাত্র দুজন বোলারের। দুজনই ইংল্যান্ডের-অফ স্পিনার জিম লেকার (১৯/৯০, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ওল্ড ট্রাফোর্ড, ১৯৫৬) ও মিডিয়াম ফাস্ট বোলার সিডনি বার্নস (১৭/১৫৯, বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহানেসবার্গ, ১৯১৩)। একটা জায়গায় নরেন্দ্র হিরওয়ানি কিন্তু তাঁদের চেয়েও এগিয়ে। লেকার আর বার্নসের ওই বোলিং হিরওয়ানির মতো টেস্ট অভিষেকে নয়। এমন একটা অভিষেকের পর নরেন্দ্র হিরওয়ানি কয়টা টেস্ট খেলেছেন, জানেন? মাত্র ১৭টি!

ক্রিকেট আর ক্রিকেটার নিয়ে একটা লেখা খুনের মতো বিচ্ছিরি প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু এ কারণেই। ভারতীয় দলে আর ফেরার সম্ভাবনা নেই বুঝে ফেলার পর ক্ষোভে-হতাশায় হিরওয়ানি একবার বলেছিলেন, 'তিন ঘণ্টার ক্রাইম থ্রিলার দেখলে শেষে কে খুনি, তা জানা যায়। কিন্তু আমি এখনো জানি না, কে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে খুন করল!'

বব ম্যাসি এমন নাটকীয় কিছু বলেননি। হিরওয়ানির ওই চেন্নাই-বীরত্বের আগে টেস্ট অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা তাঁরই ছিল। উইকেট সংখ্যায় তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি হিরওয়ানি। শুধু দুই ইনিংস মিলিয়ে এক রান কম দিয়েছিলেন। ১৩৬ রানে ১৬ উইকেট হিরওয়ানির, ১৬ উইকেট নিতে ম্যাসির খরচ হয়েছিল ১৩৭ রান। ম্যাসির ক্যারিয়ার আরও সংক্ষিপ্ত। মাত্র ৬ টেস্টের। এ নিয়ে তাঁরও নিশ্চয়ই দু:খ আছে, তবে কোনো তিক্ততা নেই। হিরওয়ানি তাঁর ক্যারিয়ারের 'খুনি'কে খুঁজে বেড়াচ্ছেন, ম্যাসিকে তা খুঁজতে হচ্ছে না। তিনি শুধু একটা প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজেন--- ইচ্ছামতো বল সুইং করানোর যে ক্ষমতাটা ছিল তাঁর, কীভাবে সেটি হারিয়ে গেল? ১৯৭২ সালের ওই লর্ডস টেস্টের মতো কন্ডিশন আর পাননি সত্যি, তাই বলে ভোর তিনটায় ঘুম থেকে জাগিয়ে হাতে বল তুলে দিলেও অনায়াসে যে আউট সুইংগার করতে পারতেন, সেটিও কিভাবে ভুলে গেলেন!

বব ম্যাসি: ৬ টেস্টে ৩১ উইকেটের ১৬টিই অভিষেকে! ছবি: আইসিসি

মেঘলা আকাশের নিচে একটু নরম উইকেট সিম আর সুইং বোলিংয়ের জন্য আদর্শ এক কন্ডিশন সাজিয়ে রেখেছিল সেদিন লর্ডসে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের না তাতে বেশি সমস্যা হবে, ইংলিশদের জন্য তো এই কন্ডিশন খুব চেনা। অথচ সুইং বোলিংয়ের এক অনুপম প্রদর্শনীতে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের চোখে সর্ষে ফুলের ছবি এঁকে দিলেন ম্যাসি। চাইলে সেটি আপনি এখনো দেখে নিতে পারেন। ইউটিউবে 'হিরওয়ানির টেস্ট'-এর যে করুণ অবস্থা, 'ম্যাসির টেস্ট'-এর তা নয়। বলের সুইং-মুভমেন্ট বোঝা যায়। এই লেখাটা লিখতে বসার আগে আবারও তা দেখার সময় প্রথম দেখে যা মনে হয়েছিল, সেটিই মনে হলো আবারও। রান আপ, ডেলিভারি, ফলো থ্রু সবকিছু মিলিয়ে বব ম্যাসিকে যত না অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার মনে হয়, তার চেয়ে বেশি ইংলিশ মিডিয়াম পেসার। অবিচল লাইন-লেংথ আর ছোট ছোট সুইংয়ের যে মিডিয়াম পেসার ইংল্যান্ড যুগে যুগে রাশি রাশি উৎপাদন করে এসেছে। মনে হয় আরেকটা কথাও। কখনো কখনো কারও জীবনে এমন দিন আসে, যখন হাত বাড়ালেই সেটি ভরে ওঠে প্রাপ্তিতে। বব ম্যাসির জন্যও এটি ছিল এমনই এক দিন। নইলে যে কন্ডিশনের কথা বার বার বলা হয়, অন্য বোলাররাও তো সেটির দাক্ষিণ্য পেয়েছেন। তাঁদের কেউ এর কাছাকাছি কিছুও করতে পারেননি কেন? যে টেস্টে ম্যাসির ১৬ উইকেট, সেটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট ইংল্যান্ডের জন স্নোর। গ্রেট ডেনিস লিলিও তো ছিলেন, ইংল্যান্ডের বাকি ৪টি উইকেট নিয়ে সেদিন যিনি টিমটিম করে জ্বলা পার্শ্ব চরিত্র।

লর্ডসের পর সেই সিরিজেই আরও তিনটি টেস্ট খেলেছেন ম্যাসি। একটাতে বৃষ্টির কারণে এক ইনিংসে ১৪ ওভারের বেশি করতে পারেননি। বাকি ৫ ইনিংসে বোলিং করে মাত্র ৭ উইকেট। ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে সে বছরই ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টে বরং এর চেয়ে ভালো (৮ উইকেট)। এরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেলেন, সেখানে হঠাৎই তাঁর বোলিং এমন নির্বিষ হয়ে গেল যে, একটি টেস্টেও সুযোগ পেলেন না। দলে নবীন ম্যাক্স ওয়াকারকে আউট সুইং শেখাচ্ছেন, অথচ নিজে তা করতে পারছেন না। নিজেকে হারিয়ে ফেলার এমন নাটকীয় গল্প ক্রিকেটে খুব বেশি নেই।

অস্ট্রেলিয়া দল থেকে তো বাদ পড়লেনই, লর্ডসে ওই স্বপ্নের অভিষেকের দেড় বছরের মাথায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেলেন রাজ্য দল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলেও। যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বয়স ১৯ হওয়ার আগেই 'একটা রত্ন পাওয়া গেছে' তৃপ্তির ঢেঁঁকুর তুলে দলে নিয়েছিল ম্যাসিকে। প্রথম টেস্টে যাঁর ১৬ উইকেট, পরের ৫ টেস্টে ১৫! টেস্ট ক্যারিয়ারের গল্প বলতে বললে ম্যাসি তাই লর্ডস ছাড়া বোলিং নিয়ে কথা বলার কিছু পান না। বরং বলেন শেষ টেস্টে তাঁর ব্যাটিং বীরত্বের কথা। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ব্যাটিং করতে নেমেছেন। নামার আগে আম্পায়ার বন্ধু রন হ্যারিস বলেছেন, '২০ রানের বেশি যত করতে পারবে, প্রতিটি রানের জন্য তোমাকে আমি একটি বিয়ারের গ্লাস কিনে দেব।' টেস্টে এর আগে ৭ ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন ৩৬, সর্বোচ্চই হলো ১৮। বিয়ারের গ্লাস 'লোভে'ই কি না ম্যাসি সেদিন ৪২ রান করে ফেললেন। নবম উইকেটে সেই টেস্টেই অভিষিক্ত জন ওয়াটকিনসের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটিটিই পরে নির্ধারক হয়ে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়ার ৫২ রানের জয়ে। ক্যারিয়ার নিয়ে দু;খে প্রলেপ বোলাতে ম্যাসি তাই বলতেই পারেন, 'জীবনের প্রথম ও শেষ দুই টেস্টেই আমি অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছি। প্রথমটিতে বল হাতে, শেষটিতে ব্যাট হাতে।'

বন্ধু কিন্তু কথা রাখেননি। এখনো তাঁর সঙ্গে দেখা হলে ম্যাসি মনে করিয়ে দেন, 'তুমি কিন্তু দুটি বিয়ারের গ্লাস দিয়েছ। আরও ২০টি এখনো আমার পাওনা।'


বিশ্ব ক্রিকেটে অমন হইচই ফেলে শুরু ম্যাসির ক্যারিয়ার সাড়ে ছয় মাসেই শেষ হয়ে গেলেও হিরওয়ানিরটা বিরতি দিয়ে দিয়ে স্থায়ী হয়েছে প্রায় নয় বছর। তাঁর শুরুটা দেখার সুযোগ ছিল না, তবে ঘটনাচক্রে শেষটি আমি প্রেসবক্স বসেই দেখেছি। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সেই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৫ ওভার বোলিং করেও কোনো উইকেট পাননি। হিরওয়ানি অবশ্য বলতেই পারেন, দুই টেস্ট পিছিয়ে গেলেই তো দেখবেন, ইনিংসে আমার ৬ উইকেট আছে। অকালে ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়া অদৃশ্য 'খুনি'কে খুঁজতে পারেন হিরওয়ানি, তবে দৃশ্যমান কারণ বলতে হয় অনিল কুম্বলের আবির্ভাবকে। বোলিংয়ের ধরনে হিরওয়ানির সঙ্গে বিপরীত এই লেগ স্পিনারের কার্যকারিতাতেই আসলে ফুরিয়ে গেছে হিরওয়ানির প্রয়োজন।

এই প্রয়োজনই তাঁকে নিয়ে এসেছিল টেস্ট ক্রিকেটে। চেন্নাইয়ে সেটি সিরিজের শেষ টেস্ট। সিরিজ বাঁচাতে যেটিতে ভারতকে জিততেই হবে। চার টেস্টের সিরিজে দিল্লিতে প্রথম টেস্টে জয় সিরিজে এগিয়ে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। মুম্বাই ও কলকাতায় পরের দুটি টেস্ট হয়েছে ড্র। হেইন্স-গ্রিনিজ-রিচার্ডস-রিচার্ডসন সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপের জন্য ওষুধ হিসাবে চেন্নাইয়ে তাই তৈরি করা হলো ভয়াবহ এক টার্নিং উইকেট। লেগ স্পিনই ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের একমাত্র দুর্বলতা জেনে গোপন অস্ত্র হিসাবে আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে নরেন্দ্র হিরওয়ানিকে। সেই অস্ত্র যে এতটা বিধ্বংসী হবে, সেটা অবশ্য নির্বাচকদের কল্পনাও করার কথা নয়। হিরওয়ানি তো কখনো ভুলবেনই না, সেই টেস্টটি আলাদা হয়ে আছে রবি শাস্ত্রীর কাছেও। কলকাতা টেস্টে সেঞ্চুরি করার পর উইনস্টন ডেভিসের বলে হাত ভেঙে যাওয়ায় শেষ টেস্টের বাইরে চলে গেছেন ভারতীয় অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকার। চেন্নাইয়ে অধিনায়ক তাই রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেট মস্তিষ্কের অধিনায়ক হিসাবে একমাত্র টেস্ট। রেকর্ডটাও তাই দেখার মতো। এক টেস্ট, এক জয়---সাফল্যের হার ১০০ পার্সেন্ট!

চার্লস ম্যারিয়ট: টেস্ট অভিষেকে ১১ উইকেট। অথচ সেটিই শুরু, সেটিই শেষ! সংগৃহীত ছবি

শুরুটা অমন অবিশ্বাস্য ছিল বলেই ম্যাসি-হিরওয়ানির টেস্ট ক্যারিয়ার এমন আক্ষেপের গল্প। যদিও চার্লস ম্যারিয়টের কাছে সেটা কিছুই নয়। ইংল্যান্ডের এই লেগ স্পিনার টেস্ট অভিষেকে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। ১৯৩৩ সালে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে জর্জ হেডলিকে প্রথম শিকার বানিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও একটি বেশি। এই প্রথমই হয়ে আছে তাঁর শেষ। অভিষেক হতে হতেই যে বয়স হয়ে গিয়েছিল ৩৭। সেই টেস্টটিও খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার হেডলী ভেরিটির ইনজুরির কারণে। এমন একটা পারফরম্যান্সের পর অবশ্য তাঁকে বাদ দেওয়াটা সহজ ছিল না। সে বছরই ভারত সফরেও তাই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ম্যারিয়টকে। বিস্ময়করই বলতে হবে, যে ভারতে বোলিং করার জন্য মুখিয়ে থাকেন স্পিনাররা, সেখানে গিয়েই নাকি হারিয়ে যায় ম্যারিয়টের বোলিংয়ের কারিকুরি। সফরে ৯টি ম্যাচ খেলে ৩২ উইকেট টেস্ট একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয়নি। যদিও ওই নয় ম্যাচের একটিতেই মাদ্রাজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের একমাত্র হ্যাটট্রিকটি করেছেন ম্যারিয়ট। ক্রিকেটের বাইরেও বিস্তীর্ণ জগত ছিল তাঁর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। ডিগ্রি নিয়েছেন অক্সফোর্ড থেকে। পেশায় ছিলেন শিক্ষক। ডালউইচ কলেজে মডার্ন ল্যাংঙ্গুয়েজ পড়িয়েছেন প্রায় চার দশক। ক্রিকেট ইতিহাস অবশ্য তাঁকে মনে রেখেছে ট্র্যাজিক হিরো হিসাবেই। ১৯৬৬ সালেই পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া চার্লস ম্যারিয়টও কি নিজেকে এমনই ভাবতেন! নাকি সান্ত্বনা খুঁজতেন রেকর্ড বই দেখে? যেখানে লেখা আছে, টেস্ট ক্রিকেটে কমপক্ষে ১০ উইকেট পেয়েছেন, এমন বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং গড় (৮.৭২) চার্লস ম্যারিয়টের!