Thank you for trying Sticky AMP!!

সৌরভ গাঙ্গুলীর ‘শুভকামনা’ নিয়ে বিসিবির নির্বাচনে

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে ইফতেখার রহমান

একসময় ক্রিকেটার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে পরিচয়টা ছড়িয়েছে সংগঠক হিসেবে। ইফতেখার রহমানের পরিচয় আছে আরও একটি। ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি।

হঠাৎ করে ইফতেখার রহমান ও তাঁর সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীর বন্ধুত্বের প্রসঙ্গটা আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন সামনে রেখে। শ্রেণি-২ থেকে ১২টি পরিচালক পদের জন্য আজ যে ১৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানে আছেন দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ফিয়ার ফাইটার্সের কাউন্সিলর ইফতেখারও।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, বন্ধু সৌরভ গাঙ্গুলীর শুভকামনা নিয়েই বিসিবির নির্বাচনে এসেছেন তিনি।

‘ভোটাররা যাঁকে যোগ্য মনে করবেন, তাঁকেই নির্বাচিত করবেন। তার (সৌরভ গাঙ্গুলী) সঙ্গে অনেক দিন ধরেই আমার বন্ধুত্ব। সে–ও জানে যে আমি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি। আমাকে সে শুভকামনা জানিয়েছে’, বিসিবি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেছেন ইফতেখার।

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী

১৯৮৯ সালে সৌরভের বড় ভাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলী ইফতেখারের মাধ্যমেই খেলেন ঢাকার গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে। স্নেহাশিস তখন তাঁর ছোট ভাই সৌরভকেও এই ক্লাবে খেলাতে চেয়েছিলেন। ইফতেখার কলকাতায় গিয়ে সৌরভের সঙ্গে চুক্তিও করেন। কিন্তু নানা কারণে পরে আর ঢাকার ক্লাবে খেলা হয়নি সৌরভের। তবে দুজনের বন্ধুত্বের শুরু তখন থেকেই।

ইফতেখার বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলে ভারতীয় বোর্ড প্রধানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব বাংলাদেশের ক্রিকেটের কতটা কাজে লাগবে, এসেছে সে প্রসঙ্গও। তবে এই প্রশ্নে ইফতেখার কূটনৈতিক উত্তরই দিলেন, ‘আপনার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব থাকলেও একটা আনুষ্ঠানিকতা তো আছে। সে তো চাইলেও অফিশিয়াল ডেকোরাম ভাঙতে পারবে না। বন্ধুত্বের খাতিরে হয়তো কখনো কোনো সাহায্য করতে পারে। কিন্তু অফিশিয়ালি সে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট। তবে বাংলাদেশে ক্রিকেটের সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীর সম্পর্কটা অন্য রকম সম্পর্ক। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সে অন্যভাবে দেখে।’

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলীকে খেলাতে চেয়েছিলেন তাঁর বড় ভাই

এমন গুঞ্জনও আছে যে সৌরভের সুপারিশেই ক্রিকেট বোর্ডে আসার পথ তৈরি হয়েছে ইফতেখারের জন্য। ইফতেখার অবশ্য সে প্রসঙ্গে না গিয়ে ক্রিকেট সংগঠক হিসেবেই নিজের পরিচয়টা তুলে ধরলেন, ‘বোর্ড পরিচালক হিসেবে না থাকলেও আমি ১৯৯০ সাল থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৮০ সালে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলা শুরু করি, এরপর থেকেই ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। এত দিনে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

মনোনয়নপত্র কেনা ৩২ জনই আজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে কাল, আপিল গ্রহণ ও শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর। ৩০ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। ৬ অক্টোবর নির্বাচন ও তার পরদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।