Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক হার্শালের

স্কুলেও যা হয়নি, সেটাই হলো আইপিএলে

দল ছাপিয়ে ব্যক্তিগত লড়াই হয়ে উঠেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচটি। একদিকে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে; জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন, ঘোষণা দিয়েছেন। এ মৌসুম শেষ হলে আইপিএলের দায়িত্ব থেকেও। এর মধ্যেই কথা উঠেছে, মৌসুমের মাঝপথেই তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না তাঁর।

উল্টো দিকে আছেন রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত ট্র্যাক রেকর্ড। আইপিএলে মুম্বাইকে এনে দিয়েছেন একাধিক শিরোপা। জাতীয় দলেও কোহলিকে হটিয়ে তাঁকেই অধিনায়কত্ব দেওয়ার চিন্তা চলছে। টি-টোয়েন্টি তো বটেই, ওয়ানডেতেও। ফলে গতকাল একরকম শো-ডাউনই ছিল দুই অধিনায়কের মধ্যে। আর তাতে জয় হলো কোহলির। বেঙ্গালুরু ও কোহলিকে জেতানোর নায়ক একটু অপরিচিত এক নাম, হার্শাল প্যাটেল। মিডিয়াম পেসে ৪ উইকেট পাওয়ার পথে কাল হ্যাটট্রিক করেছেন প্যাটেল।

অচেনা এক স্বাদ পেয়েছেন প্যাটেল

বিরাট কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুটি অর্ধশতকে ১৬৫ রান তোলে বেঙ্গালুরু। তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মার ২৮ বলে ৪৩ রান দারুণ শুরু এনে দেয় মুম্বাইকে। কিন্তু এরপর যুজবেন্দ্র চাহালের দুর্দান্ত স্পিন মুম্বাইকে আটকে দেয়। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া চাহাল। তবু মুম্বাইয়ের আশা ছিল। উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ডরা ছিলেন। ৪ ভারে ৬০ রান দরকার—এমন অবস্থায় বোলিংয়ে এসেছেন প্যাটেল। প্রথম বলে পান্ডিয়া ক্যাচ তুললেন, পোলার্ড হলেন বোল্ড, আর রাহুল চাহার হলেন এলবিডব্লু, হ্যাটট্রিক!

মুম্বাইকে আটকে দেওয়া চাহাল ও প্যাটেল

১৯তম ওভারে ফিরে অ্যাডাম মিলনেকেও বোল্ড করে দলকে ৫৪ রানের জয় এনে দিয়েছেন প্যাটেল। কিন্তু এখনো ঘোর কাটছে না তাঁর, ‘জীবনে এই প্রথম হ্যাটট্রিক করলাম আমি। এর আগে এমনকি স্কুল ক্রিকেটেও হ্যাটট্রিক ছিল না আমার। আইপিএলে এর আগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা ছয়বার জাগিয়েছিলাম এবং এবারই প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিক হলো। এটার মর্ম বুঝতে আরও সময় লাগবে।’

সব পরিকল্পনা কাজে লাগার তৃপ্তি কোহলির

জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিক। ৩০ বছর বয়সী এই পেসারের জন্য প্রতিটি উইকেটই তাই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে এর মাঝেও কাইরন পোলার্ডের উইকেট আলাদাভাবে মনে থাকবে তাঁর, ‘পোলার্ডের উইকেট বেশি তৃপ্তি দিয়েছে, কারণ সেটা একটা ধোঁকা ছিল। দলের মিটিংয়ে আলোচনা করেছিলাম, ওয়াইডে টানা বল করে ফাঁদ পাততে হবে এবং এরপর পায়ের কাছে একটা ইয়র্কার দিলে কাজ হয়। আমি দ্রুতগতির ইয়র্কার না দিয়ে স্লোয়ার দিয়েছি।’