Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বপ্ন সারথি হতে চান রনি তালুকদার

রনি তালুকদারের অভিষেক হচ্ছে পাকিস্তান সিরিজে

অনেক দিন থেকেই কড়া নাড়ছিলেন জাতীয় দলে। জাতীয় দল গঠনে নির্বাচকদের বৈঠকে প্রায়ই আলোচিত হচ্ছিল তাঁর নাম। সময়ের অপেক্ষায় ক্লান্ত না হয়ে উন্নতিতে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কাজটাই করে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই প্রত্যয়ী অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটেছে। জাতীয় দলের ক্যাপ মাথায় চড়ানোর সুযোগ হয়েছে তাঁর। সুযোগটা যখন পেয়েই গেছেন, তখন এটাকে আকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে চান আরও। নিজের ক্রিকেটীয় প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অংশ হয়ে থাকতে চান বহু বছর। হতে চান বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি। নিজের স্বপ্নটাও তাঁর আকাশ ছোঁয়াই।
রনি তালুকদারের কথাই হচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কালে যে কজন নিয়মিত পারফরম করে যাচ্ছিলেন রনি তাদের একজন। ছোট-বড় সব ফরম্যাটেই সমানভাবে নিজেকে চেনাচ্ছিলেন তিনি। পাকিস্তান সিরিজে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছসিত হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে নিজের ভেতরের জেদটা, ভেতরের প্রত্যয়টাকে নতুন করে সাজিয়ে ফেলেছেন তিনি। জাতীয় দলে সুযোগের ব্যাপারটাকে দেখছেন নিজের ক্যারিয়ারের আরও একটি অধ্যায় হিসেবে। যে পরিশ্রম, যে অধ্যবসায় তাঁকে এই অধ্যায়ে নিয়ে এসেছে, সেটাকে আরও বাড়িয়ে জাতীয় দলকে স্থায়ী ঠিকানা বানিয়ে ফেলার লক্ষ্যই এখন রনির চোখজুড়ে।
জাতীয় দলে সুযোগ মেলার পর দিন নিজের প্রতিক্রিয়াতেও মিশে আছে তাঁর প্রত্যয়, ‘দোয়া করবেন যেন জাতীয় দলে ভালো কিছু করতে পারি। নিয়মিত পারফরম করতে পারি।’
নিয়মিত পারফরম করাটা রনি তালুকদারের মজ্জাগতই। প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে নিয়মিতই পারফরম করেছেন তিনি। দুটো অপরাজিত সেঞ্চুরি নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর মোট রান ছিল ৭১৪। জাতীয় ক্রিকেট লিগে করেছিলেন একটি ডাবল সেঞ্চুরি (২২৭) আর একটি বড় শতক (১৬৩)। জাতীয় দলের আমন্ত্রণপত্রটা তৈরিই ছিল। হাতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতাটুকুই সারলেন কেবল।
মাত্র এক বছর আগেই পরলোকগত বাবা মনোরঞ্জন তালুকদারের আজম্ম লালিত স্বপ্ন ছিল তাঁর অন্তত একটি ছেলে জাতীয় দলের টুপি মাথায় দেবে। তিন ছেলেকেই এ লক্ষ্যে বানিয়েছেন ক্রিকেটার। তিন ভাইয়ের মধ্যে রনিই প্রথম পূরণ করলেন বাবার স্বপ্ন। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার ফোনটা পেয়েই রনির চোখ দুটো নিশ্চয়ই অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠেছিল।
এমন দিনে বাবা যদি পাশে থাকতেন!