Thank you for trying Sticky AMP!!

হাই তুলে টাকা পেলে, হাই-ই ভালো!

এই ছবিটাই যত ঝামেলার উৎস। সংগৃহীত ছবি
ভারত ম্যাচে একটু হাই তুলে ফেলেছিলেন সরফরাজ। এক সপ্তাহ পার হচ্ছে, তবু এ নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে সরফরাজকে।

হাই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কেন ওঠে, এ নিয়ে এখনো নিশ্চিত না হলেও হাই তুলতে দেখা যায় সবাইকে। একটু ঠান্ডা, কিংবা চাপের মুহূর্তে হাই তোলাটা স্বাভাবিক। একটু স্বাস্থ্যবান মানুষেরও হাই তোলার সম্ভাবনা বেশ। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একসঙ্গে তিনটি বিষয়ই মিলে গিয়েছিল। তাই চলে আসা হাই আর আটকাতেই পারেননি সরফরাজ আহমেদ।

ভারতের স্কোর তিন শ পেরিয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি নেমেছিল। বৃষ্টিতে খেলা থামার একটু আগেই সরফরাজের ওই ঘটনা। এরপর যা হলো, তা তো সবারই জানা। টিভি পর্দায় ধরা পড়ার পর থেকেই সরফরাজকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেতেছেন অনেকে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুরুতেই সরফরাজকে সবচেয়ে ‘আনফিট’ অধিনায়ক বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। শপিং মলে কেনাকাটা করতে গিয়েও শান্তি নেই। সেখানে ‘মোটা’ বলে কটাক্ষের পর ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি এক সমর্থক। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছেন।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হাই তোলা নিয়ে এখনো চলছে হাসি-ঠাট্টা। শোয়েব আখতার ও অন্য সাবেক ক্রিকেটাররা সরফরাজের সবকিছুতেই দোষ খুঁজে পাচ্ছেন। এ নিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে কড়া জবাবও দিয়েছেন। টুইটারের পোস্ট পড়ে যে দল গঠনের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না, সেটা জানিয়েই ক্ষান্ত হননি সরফরাজ। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘তাদের (পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার) সম্বন্ধে কিছু বললে ইস্যু হয়ে যাবে। তাই কিছু বলব না। তারা আমাদের খেলোয়াড় বলেই মনে করে না। এ জন্য কিছু বললেই আঘাত হিসেবে ভেবে নেবে। তারা নিজেদের সৃষ্টিকর্তা ভেবে টিভির সামনে বসে থাকে।’

সংবাদ সম্মেলনে তাঁর হাই তোলা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর উত্তরে অবশ্য সরফরাজকে হাসিমুখেই পাওয়া গেল। হাসি ধরে রেখেই জবাব দিলেন, ‘হাই তোলা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আমি তো কোনো পাপ করিনি। আমার হাই তোলা নিয়ে যদি মানুষ টাকা কামাই করতে পারে, তাহলে তো খুবই ভালো।’