Thank you for trying Sticky AMP!!

১২ ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ের কাছে ভারতের হার

ভারতীয়দের এই উল্লাস ম্যাচ শেষে থাকেনি। ছবি: এএফপি

‘আমাদের দ্বিতীয় সারির ভারত বলবেন না।’ রবিন উথাপ্পা কদিন আগেই এই অনুরোধ করেছেন। তা তিনি করতেই পারেন। জাতীয় দল তো জাতীয় দলই, সেটার আবার প্রথম-দ্বিতীয় কী? তবে ভারত সমর্থকেরা হয়তো আজকের জন্য উথাপ্পার এই তত্ত্ব মানবেন না। আজ যে ভারত জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেছে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। সব ধরনের ক্রিকেটেই জিম্বাবুয়ের কাছে ভারতের এই পরাজয় এল পাঁচ বছর পর।
আগের পরাজয়টি অবশ্য ছিল ওয়ানডেতে। ২০১০ সালের জুনে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে হারিয়েই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনাল খেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এর পর ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ ম্যাচ জেতার পর আবারও পরাজয়ের স্বাদ। ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়া স্বাগতিকেরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ১-১-এ শেষ করেছে ১০ রানে জিতে।
চামু চিবাভার ৬৭ রানে ৭ উইকেটে ১৪৫ তোলে জিম্বাবুয়ে। উথাপ্পার ৪২ আর স্টুয়ার্ট বিনির ২৪ রানের পরও ৯ উইকেটে ১৩৫-এ থামে ভারত। ৩০ বলে মাত্র ৪১ রান দরকার ছিল ভারতের। হাতে ৫ উইকেট নিয়েও সেই রান তুলতে পারেনি অজিঙ্কা রাহানের দল। অন্য দিকে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে নেমেই ভারতের বিপক্ষে জয় পেলেন সিকান্দার রাজা। সব ধরনের ক্রিকেটে টানা ১২টি ম্যাচ হারের পর জিম্বাবুয়েও পেল জয়ের দেখা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া ভার​ত অধিনায়কের নাম সুরেশ রায়না। ওই সফরে জিম্বাবুয়ের কাছে দুটো ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। ২০১৩ সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব অবশ্য ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে গিয়েছিল ভারত। এবার ধোনি-রায়না-কোহলিদের ছাড়াই পাঠানো দলটাও ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে। প্রথম টি-টোয়েন্টিও জিতে নেয়। কিন্তু সফরের শেষ ম্যাচটা হেরে গেল।