Thank you for trying Sticky AMP!!

২০২০ সালে ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস বাংলাদেশের লিটন দাসের।

২০২০ সালের সেরাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের লিটন দাসও

শেষ হয়ে যাচ্ছে আরেকটি বছর। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁলেই ২০২০ সালকে বিদায় দিয়ে চলে আসবে ২০২১ সাল। করোনায় জেরবার ২০২০ সাল ক্রিকেটটা একেবারে কম দেখেনি। করোনার বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিভিন্ন সংস্করণে কারা করেছেন রাজত্ব, একটু চোখ বুলিয়ে নিই...।

২০২০সালে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান বেন স্টোকসের।

টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান

বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), ৫৮.২৭ গড়ে ৬৪১ রান


গত বছর হেডিংলিতে অ্যাশেজে মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলে দলকে জেতানো ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার এবারও ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন। বছরের শুরুতে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া স্টোকস জুলাইয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছেন ১৭৬ রান করার পথে ডম সিবলিকে নিয়ে গড়েছেন ২৬০ রানের জুটি। বছরে টেস্টে মোট রানে ওই সিবলিই ছিলেন স্টোকসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী (৬১৫ রান)।

ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান

অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া), ৫৬.০৮ গড়ে ৬৭৩ রান


মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বছরটা শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়ক। সেই ভারতের বিপক্ষেই দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি করে বছরটা শেষ করেছেন ফিঞ্চ। এ বছর ওয়ানডেতে রান সংখ্যায় ফিঞ্চের পরেই আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (৫৬৮)।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান

মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান), ১৫২.৫৭ স্ট্রাইক রেট ও ৮৩.০০ গড়ে ৪১৫ রান


বয়সে প্রবীণ কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নবীন সংস্করণে ‘প্রফেসরের’ ব্যাটিং দেখা তা বোঝার সাধ্য কার! ৪০ পেরোনো হাফিজ এ বছর পাকিস্তানের পাকিস্তানের জার্সিতে ২০ ওভারের ক্রিকেটে আট ইনিংস ব্যাট করে তিনবার অপরাজিত থেকে করেছেন ৪১৫ রান। নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তো মাত্র ১ রানের জন্যই পাননি ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।

২০২০ সালে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট স্টুয়ার্ট ব্রডের।

টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট

স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড), ১৪.৭১ গড়ে ৩৮ উইকেট


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে ছিলেন না স্টুয়ার্ট ব্রড। তাতে প্রকাশ্যেই রাগ ঝেড়েছিলেন ইংলিশ পেসার। দলে ফিরেই ব্রড বুঝিয়ে দেন, দলের বাইরে থাকার মতো সময় এখনো আসেনি তাঁর। বছরে ৮ টেস্ট খেলে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন, ছুঁয়েছেন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক। জৈব-বলয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষেই পাঁচ টেস্টেই ব্রডের উইকেট ২৯টি।

ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট

অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া), ২৩.৭৪ গড়ে ২৭ উইকেট


বছরে ১৩ ম্যাচ খেলেই ২৭ উইকেট অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনারের। ২৭ উইকেটে ১৭টিই জাম্পা নিয়েছেন করোনা বিরতি থেকে ফিরে খেলা ৬ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ১০ উইকেট, এরপর ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেট। দুটি সিরিজই জিতেছে জাম্পার অস্ট্রেলিয়া। এ বছর ওয়ানডেতে উইকেটসংখ্যায় জাম্পার কাছাকাছি আছেন আলজারি জোসেফ। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসার ৬ ম্যাচেই নিয়েছেন ১৮ উইকেট।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট

লুঙ্গি এনগিডি (দক্ষিণ আফ্রিকা), ২০.৫২ গড়ে ১৭ উইকেট


৯ ম্যাচেই ১৭ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি, সেই ইকোনমি অবশ্য মোটেও ভালো ছিল না এনগিডির। উদার হস্তেই রান বিলিয়েছেন তিনি, ওভারপ্রতি দিয়েছেন ১০.৪৭ রান। ৯ ম্যাচ খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র ২ জয়েও প্রতিফল সেটির। ১১ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে এনগিডির ঠিক পেছনে থেকে বছর শেষ করেছেন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ।

টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ

জ্যাক ক্রলি (ইংল্যান্ড), ২৬৭ বিপক্ষ পাকিস্তান


সাউদাম্পটনের এই ইনিংসের আগে টেস্টে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না ক্রলির। সেই ক্রলি কিনা করে ফেললেন ২৬৭ রান। টেস্ট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের এর চেয়ে বড় সেঞ্চুরি আছে শুধু একটি। ডাবল সেঞ্চুরির পথে জস বাটলারকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন ক্রলি। টেস্ট ইতিহাসে যা পঞ্চম উইকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও সব দেশ মিলিয়ে পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি।

১৭৬ রান করার পথে লিটন দাস।

ওয়ানেডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ

লিটন দাস (বাংলাদেশ), ১৭৬ বিপক্ষ জিম্বাবুয়ে


তিন দিন আগে নিজের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছিলেন তামিম ইকবাল। সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম করেছিলেন ১৫৮ রান। তৃতীয় ওয়ানডেতে উইকেটের অন্য পাশে দাঁড়িয়ে সেই তামিম দেখলেন লিটন দাসের রেকর্ডভাঙা ১৭৬ রানের ইনিংস। ১৪৩ বলে ১৬ চার ও ৮ ছক্কায় ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার। তামিমের সঙ্গে লিটনের ২৯২ রানের উদ্বোধনী জুটিটা ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ

শাহরিয়ার বাট (বেলজিয়াম), ১২৫* বিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্র


আগস্টে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ৫০ বলেই ১২৫ রানের ইনিংসটি খেলেন বেলজিয়ান অধিনায়ক। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাহরিয়ার ওই ইনিংসে মেরেছেন ১১ চার ও ৯ ছক্কা। ম্যাচে শাহরিয়ার যখন ব্যাটিংয়ে আসেন ৪১ রানে ৪ উইকেট নেই বেলজিয়ামের। এরপর তাঁর দলের ১৫৮ রানের ১২৫-ই এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ বছর আর একটিই সেঞ্চুরি। নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস করেন ১০৮ রান।

টেস্টে সেরা বোলিং জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজার।

টেস্টে ইনিংসসেরা বোলিং

সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে), ৭/১১৩ বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা


হারারেতে প্রথম ইনিংসে বিনা উইকেটে ৯৪ রান তুলে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন রাজা। এই অফ স্পিনার পরে নেন আরও ৬ উইকেট। নিয়মিত উইকেট হারানো লঙ্কানরা অলআউট ২৯৩ রানে। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে লিড পায় ১১৩ রানের। টেস্টে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সেরা বোলিং রাজার। সেরা ২০০০ সালে বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লেগ স্পিনার পল স্ট্র্যাংয়ের ১০৯ রানে ৮ উইকেট।

ওয়ানডেতে সেরা বোলিং

সন্দীপ লামিচানে (নেপাল), ৬/১৬ বিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র


নেপালি লেগ স্পিনারকে নিয়ে কেন কাড়াকাড়ি করে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি দলগুলো সেটি টের পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কীর্তিপুরে লামিচানের ৬ উইকেটেই বিরাট কীর্তি গড়ে নেপাল। মার্কিনরা অলআউট মাত্র ৩৫ রানে, যা ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যৌথ সর্বনিম্ন। ম্যাচটি ২৬৮ বল হাতে রেখেই জিতে যায় নেপাল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং

খিজার হায়াত (মালয়েশিয়া), ৫/৪ বিপক্ষ হংকং


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে চমক মালয়েশিয়ার অফ স্পিনারের। কুয়ালালামপুরে হংকংয়ের বিপক্ষে ২ ওভার বল করেই ৫ উইকেট পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বোলারের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই কিঞ্চিত শাহকে বোল্ড করে উইকেট পেয়ে যান খিজার। ওই ওভারে আরেকটি উইকেট নেওয়া বোলার অষ্টম ওভারে আক্রমণে ফিরে নেন ৩ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকে সেরা বোলিং এটিই।