Thank you for trying Sticky AMP!!

২৩ বছর আগে...

আইসিসি ট্রফি জয়ের স্মৃতি এখনো অম্লান বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের মনে। সেই টুর্নামেন্ট কাভার করতে মালয়েশিয়াতে যাওয়া বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। ফাইল ছবি
>২৩ বছর আগে আজকের এই দিনে কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জিতে পুরো দেশকে উৎসবের রঙে রঙিন করে তুলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

দমবন্ধ করা এই করোনাকাল কত কিছুই না বদলে দিয়েছে! এতদিনের পরিচিত ছকে বাঁধা জীবন, পাওয়া-না পাওয়ার সমীকরণ, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি, আরও কত কিছু...। অদৃশ্য এক শত্রু সব বৈষম্য ঘুচিয়ে পুরো বিশ্বকে নিয়ে এসেছে একই সমতলে। মানুষের উন্মত্ত দাপাদাপি থেকে মুক্তি পেয়ে বদলাচ্ছে প্রকৃতিও। সেই পরিবর্তন অবশ্য বাহ্যিক, প্রকৃতির মূল নীতি তো আর বদলানোর নয়।

এখনো নিয়ম মেনে সূর্য ওঠে, নিয়ম মেনে অস্ত যায়। আসে ১৩ এপ্রিল। ক-ত বছর ধরে বাঙালির কাছে এই দিনটির অর্থ 'মুছে যাক গ্লানি, ঘুছে যাক জরা' গুনগুন করতে করতে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। রাত পোহালেই যে পহেলা বৈশাখ। এবার যেটি শুধুই পঞ্জিকায় বাংলা বছরের প্রথম দিন, আর কিছু নয়। করোনা কী করুণই না বানিয়ে দিয়েছে নতুন বছরের আবাহনকে!

‌তারপরও নতুন বছর আসবে, আসবেন রবীন্দ্রনাথ। পহেলা বৈশাখে তিনি আসেন “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো..” গানের রূপ ধরে। আসেন তো আসলে সব উপলক্ষেই। মনের যেকোনো অনুভূতি, প্রকৃতির যেকোনো সাজই কি রবীন্দ্রসঙ্গীতে মূর্ত হয়ে নেই! গত কিছুদিনের আবহ সঙ্গীত যেমন---রোদনভরা এই বসন্ত, সখী কখনো আসেনি বুঝি আগে...

মালয়েশিয়ার রাজার হাত থেকে আইসিসি ট্রফি নিচ্ছেন অধিনায়ক আকরাম খান। সঙ্গে আমিনুল ইসলাম। ছবি: শামসুল হক

রোদনভরা বসন্তের শেষ দিন আজ ১৩ এপ্রিলও তাই আসন্ন উৎসবের রং ছড়িয়ে দিতে পারছে না কারও মনে। দু:সহ বর্তমান থেকে মুক্তি পেতে মানুষ আশ্রয় খোঁজে পুরনো সুখস্মৃতিতে। আমিও যেমন খুঁজছি ২৩ বছর আগের এক ১৩ এপ্রিলে। পহেলা বৈশাখের মতোই সর্বজনীন রূপ নেওয়া এক উৎসবের স্মৃতি ফিরে আসছে মনে। ১৯৯৭ সালের এই দিনে কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জয় উৎসবের রঙে রঙিন করে তুলেছিল পুরো বাংলাদেশকে।

সেই উৎসবে আমি ছিলাম না। কিলাত ক্লাব মাঠে যে জয়োৎসব, সেটির অংশ হয়ে থাকতে পারাতেই সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছিল আমাকে। ছিলাম না ১৪ এপ্রিল মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আইসিসি ট্রফিজয়ী দলকে দেওয়া বিশাল গণসংবর্ধনাতেও। আমি তখনো কুয়ালালামপুরে। শারীরিক ও মানসিক শক্তির পরীক্ষা নেওয়া এক সফরের ধকলে প্রায় বিধ্বস্ত। আইসিসি ট্রফির মূল টুর্নামেন্ট ছিল ২১ দিনের। বাংলাদেশ দল কুয়ালালামপুর গিয়েছিল মনে হয় দিন দশেক আগে। মালয়েশিয়ার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার ছিল, ছিল প্রস্তুতি ম্যাচও। আমি এরও আগে। ক্রিকেটের আগে ফুটবল কাভার করতে।

ঘটনাচক্রে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের গ্রুপের প্রথম রাউন্ডও সেবার কুয়ালালামপুরে। যেটি শুরু আইসিসি ট্রফি শুরুর আট দিন আগে। স্বাগতিক মালয়েশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশের গ্রুপে সৌদি আরব ও তাইনিজ তাইপে। শুধুই আইসিসি ট্রফি কাভার করলে যেদিন যেতাম, তার সপ্তাহখানেক আগে গেলে দুটিই কাভার করা যায়। তখন ব্যাচেলর জীবন, কোনো পিছুটান নেই। রুমে তালা মেরে চলে গেলেই হয়। আমি তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আগেই কুয়ালালামপুরে। যে কারণে একই দিনে বাংলাদেশের ফুটবল ও ক্রিকেট দুই জাতীয় দলেরই ম্যাচ কাভার অনন্য অভিজ্ঞতাও হয়েছে। কুয়ালালামপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সুগোই বুলোতে যেদিন হল্যান্ডের সঙ্গে ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি ম্যাচ, সেদিনই সন্ধ্যায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলা। মনে আছে, ফুটবলের প্রেসবক্সে বসে সেদিন হল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেটে ৫ উইকেটে পরাজয়ের ম্যাচ রিপোর্ট লিখেছিলাম।

প্রস্তুতি ম্যাচে হল্যান্ডের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ দল, কেনিয়ার বিপক্ষেও নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই জানা ছিল, এই দুটি দলই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রবল প্রতিপক্ষ। ১৯৯৪ আইসিসি ট্রফিতে দুই দলের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছেও। এই তিনটি দলই পরে বাংলাদেশের স্বপ্নের শবদেহ মাড়িয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ খেলে। কাকতালীয়ই বলতে হবে,১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জিতে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ একে একে হারায় এই তিন দলকেই।

আগের আইসিসি ট্রফিতে বিপর্যয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ওপর চাপটা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল এবার। প্রকৃতিতে ভিন্ন হলেও সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জও কম ছিল না। আমার সাংবাদিকতা জীবনের কঠিনতম অ্যাসাইনমেন্ট বেছে নিতে গেলে এর ধারেকাছেও কিছু আসবে না। আর কোনো টুর্নামেন্ট কাভার করতে গিয়ে যে এত সব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে হয়নি। মিডিয়ার জন্য ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা নেই। প্রেসবক্স তো নেই-ই, মাঠের পাশে বসার জন্য চেয়ার-টেবিল, মালয়েশিয়ার রাগী সূর্যের তেজ থেকে বাঁচতে একটা ছাতা পেতেও প্রায় কাকুতি-মিনতি করতে হয়েছে প্রতিটি ম্যাচে। তা পাওয়া গেলেও সেগুলো বয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে সাংবাদিকদেরই। সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচে ছাতাও জোটেনি। কাজ করতে হয়েছে তীব্র রোদে পুড়তে পুড়ুতেই।

সেদিন বিজয়ের উল্লাস ছিল বাঁধভাঙা। কুয়ালালামপুরে কিলাত ক্লাব মাঠে আইসিসি ট্রফি জয়ী দল। ছবি: শামসুল হক

সেমিফাইনাল ও ফাইনালে অবশ্য ছায়ায় বসার একটা ব্যবস্থা হয়েছিল। কিলাত ক্লাবের দোতলায় টানা কিছু চেয়ার, কিন্তু লেখার টেবিল নেই। তার চেয়েও বড় সমস্যা, নিচের অনেকটা মাঠ দেখা যায় না সেখান থেকে। যোগ হয়েছিল আরেকটি বিচিত্র সমস্যাও। একপাশে 'মিডিয়া' লেখা থাকলেও আরও অনেকেরই বসার জায়গা ওই দোতলায়। যাদের প্রায় সবাই টুর্নামেন্টের স্পনসরের জ্বলজ্যান্ত বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছিলেন।

নিচে কিলাত ক্লাবের ক্যানটিনে এই এলাকায় যে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ, এটি বেশ বড় করে লেখা। কিন্তু দোতলাতে এই নিষেধাজ্ঞার বালাই নেই। সাংবাদিকদের বসার জায়গার পাশেই স্পনসর হওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে কার্লসবার্গ বিয়ার বিক্রি হচ্ছে, তা দেদারসে গিলছে সবাই এবং জগতের সব কিছুই তাদের কাছে মহা আনন্দের উপলক্ষ হয়ে উঠছে। হাতে কাজ না থাকলে এসবে মজাই লাগত। কিন্তু অমন হা হা হো হো হাসি আর চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে ক্রিকেট রিপোর্টিং করা কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। বল বাই বল কমেন্ট্রি-পূর্ব যুগ, তার ওপর ক্রিকেট ম্যাচ কাভার করতে অপরিহার্য স্কোরারও নেই।

স্কোরারের কাজটা যে নিজেরই করতে হবে, সেটি অবশ্য প্রথম ম্যাচেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা, যারা আগের বছর ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে লাতিন আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্রিকেটেও যে 'কোপা আমেরিকা' আছে, সেটি ওই আইসিসি ট্রফিতে গিয়েই প্রথম জেনেছি। ইউনিভার্সিটি অব মালয় মাঠে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে অস্থায়ী তাবুর নিচে বসা স্কোরারের সঙ্গে কথা বলতে গেছি, হা রে রে রে করে তেড়ে এলেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা---“ডোন্ট ডিস্টার্ব হার!” “ডোন্ট ডিস্টার্ব হার!” স্কোরার ছিলেন এক তরুণী, আবার ভালোমতো তাকিয়ে দেখলাম, মোটেও অন্য কোনো কারণে ডিস্টার্ব করার মতো চেহারা নয়। ওই কর্মকর্তাকেও তা বোঝানোর চেষ্টা করা হলো। ক্রিকেটে ম্যাচ রিপোর্টিং করতে কেন স্কোরারের সাহায্য অপরিহার্য, এই মৌলিক বিষয়টাও। কোনো লাভ হলো না। মালয়েশিয়ার মানুষকে ক্রিকেট শেখানোর জন্য যে টুর্নামেন্টের আয়োজন, স্কোরারেরও হাতেখড়ি হচ্ছে তাতেই। স্কোরারের মুখ দেখেই বোঝা গেল, খেলোয়াড়দের চেয়েও বেশি টেনশনে তিনি, সাংবাদিকদের সাহায্য করবেন কীভাবে?

সেই ম্যাচের পর স্কোরকার্ড পেতেও ভোগান্তির সীমা নেই। টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল হোটেল ক্রাউন প্লাজায় আইসিসির সেক্রেটারিয়েটে সেটির খোঁজ করার পর এ ওকে দেখিয়ে দেয়, তিনি আবার আরেকজনকে। ম্যাচ রিপোর্ট করতে স্কোরকার্ডের প্রয়োজনীয়তাও বোঝাতে হলো। অবশেষে একজন তা বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হলো। পেরেছেন বলেই পাওয়া গেল বিশাল এক আশ্বাসবাণী---“স্কোরকার্ড ফাইনাল করা হচ্ছে। আপনারা আগামীকালই তা পেয়ে যাবেন।“ যা শুনে মানুষ কখন হাসব না কাঁদব দ্বিধায় পড়ে যায়, সেটি সম্যক উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম।

সে সময়ের বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও অন্যান্য ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে আইসিসি ট্রফি বিজয়ী খেলোয়াড়েরা। ছবি: শামসুল হক

ওই আইসিসি ট্রফি নিয়ে লিখতে বসে কত স্মৃতিই না ভিড় করছে মনে! জীবনে ওই একবারই সাংবাদিকের পেশাদারত্বের মন্ত্র ভুলে নির্ভেজাল সমর্থক বনে যাওয়া। অন্ধকার থাকতেই হোটেল থেকে মাঠে রওনা হয়ে যাওয়া। সকাল সাতটা থেকেই কুয়ালালামপুর পরিণত হবে জ্যামের শহরে। শহরের নানা প্রান্তে, কখনো বা শহরের বাইরের মাঠে কখন পৌঁছাব তার ঠিক নেই। এই ঝুঁকি এড়াতেই ম্যাচ শুরুর চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে রওনা হয়ে বেশির ভাগ দিন আমরা মাঠে পৌঁছুতাম কাকভোরে। আকরাম খানের কীর্তিধন্য হল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচের দিন যখন আমরা একটু দূরে ট্যাক্সি থেকে নেমে দল বেঁধে মাঠের দিকে যাচ্ছি, তখন পূবাকাশে মাত্র উঁকি দিচ্ছে সূর্য। মাঠে চুন দিয়ে বাউন্ডারি লাইন আঁকছিলেন একজন। এমন দল বেঁধে কারা যেন এগিয়ে আসছে দেখে ভয় পেয়ে ওই লোক কাজ ফেলে ভোঁ দৌড়!

সমর্থক হয়ে যাওয়ার কথা বলছিলাম, সেটি এমনই যে, হল্যান্ডের বিপক্ষে মহানাটকীয় জয় পাওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য আমি হয়তো জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছিলাম। চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে উঠে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম মনে আছে। এরপর দেখি, আমি মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে! কে যেন আমাকে টেনে তুলল। একটু পর অস্থায়ী ড্রেসিংরুমে উঁকি দিয়ে দেখি, আকরাম খান হাঁটুতে দুই হাত রেখে উবু হয়ে কাঁদছেন। যা দেখে আমিও হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম। এটা অবশ্য এমন ঘটা করে বলার মতো কিছু নয়। কারণ ওই ম্যাচের পর মাঠে বাংলাদেশের এমন কেউ ছিলেন না, যিনি কাঁদেননি।

আইসিসি ট্রফির পুরোটা জুড়েই এমন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। সব লিখতে গেলে এই লেখা আজ আর শেষ হবে না। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু লিখেছিও এর আগে। যেটি আগে কখনো লিখিনি, তা দিয়েই শেষ করি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আমাকে বললেন, 'কালকের ম্যাচটা তো খুব ইম্পর্ট্যান্ট। প্লেয়ারদের ইনস্পায়ার করতে বাড়তি কিছু করতে চাই। তুমি একটা কাজ করে দিতে পারবে? কয়েকটা চিঠি লিখে দিতে পারবে? আমি টিম মিটিংয়ে তা পড়ে শুনিয়ে বলব, বাংলাদেশ থেকে ভক্তরা পাঠিয়েছে।'

আমি রাত জেগে হাতের লেখায় নানা বৈচিত্র্য এনে ৮/১০টা চিঠি লিখে লিপু ভাইকে দিলাম। পরদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রীতিমতো উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ (বুঝতেই পারছেন, পুরোটাই আমার চিঠির গুণে!)। মজাটা হলো ম্যান অব দ্য ম্যাচ এনামুল হক মনির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে। মনি খুব আবেগভরে বলতে শুরু করলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর আর সর্বজনীন কোনো উৎসবের উপলক্ষ পায়নি। আমরা সেই উৎসবের উপলক্ষ এনে দিতে চাই। আমরা....”

আরে, কথাগুলো এত পরিচিত লাগছে কেন? রহস্যটা পরিষ্কার হতেই আমি একটু মুচকি হাসলাম। কাল রাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে লেখা চিঠিগুলোর একটিতে তো আমি ঠিক এই কথাগুলোই লিখেছিলাম না!