Thank you for trying Sticky AMP!!

২৬১ করে প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ যুবদলের

চতুর্থ উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়েছেন শাহাদাত হোসেন (বাঁয়ে) ও তৌহিদ হৃদয়। ছবি: আইসিসি টুইটার

তামিম ইকবাল ইদানীং ব্যাট হাতে খুব আগ্রাসী হয়ে ওঠেন না। প্রতিপক্ষের বোলারের ওপর ব্যাট হাতে রাজত্ব করার চেয়ে একপ্রান্ত ধরে রাখাতেই বেশি আগ্রহী তিনি। হয়তো সেটি দলের প্রয়োজনেই। দলের চাহিদা মেনেই। কিন্তু আজ পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের ক্রিকেটের আরেক ‘তামিম’ কিছুক্ষণের জন্য পুরোনো তামিম ইকবালকেই ফিরিয়েছিলেন। সেই আক্রমণ, সেই আগ্রাসন। ক্রিকেট মহলে তিনি ডাকনামে পরিচিত নন। তানজিদ হাসান নামেই সবাই তাঁকে চেনে। তাঁর অনবদ্য ব্যাটিংই আজ গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের ইনিংসের ভিত। এই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শাহাদত হোসেন ও তৌহিদ হৃদয় ৫০ ওভারে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২৬১ রান এনে দিয়েছেন।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই শুরু হয় তানজিদের স্ট্রোকপ্লে। তাঁর ইনিংসটি অবশ্য শেষ হয় ৮০ রানে। ৮৪ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার। ফন ভুরেনের বলে পয়েন্টে বিউফোর্টকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ। অবশ্য এর আগে পারভেজ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে দারুণ একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ। ১২ ওভারে স্কোরবোর্ড ৬০ রান ওঠার পর বিদায় নেন পারভেজ। মোলেৎসানের অফ স্পিনে এলবিডব্লু হন এই ওপেনার। ১৩ রান পর মাহমুদুল হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনি অবশ্য রানআউট হয়েছেন। নিজের বলে ফিল্ডিং করে ফন ভুরেন সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন মাহমুদুলের। তৌহিদ হৃদয় তানজিদের সঙ্গে এরপর গড়েন ৫৭ রানের জুটি।

এর পরপরই সূচনা বাংলাদেশের ইনিংসের আরেক গল্পের। এই গল্পের নায়ক শাহাদত হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক তৌহিদ। শাহাদতও বাংলাদেশ যুবদলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবেই পরিচিত। এই দুজন গড়েন ১০২ রানের জুটি। এ দুজনের ব্যাটিংয়ের অসময়ে তানজিদকে হারানোর ধাক্কাটা সামলে নেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শাহাদত ৭৬ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তৌহিদ ৭৩ বলে করেছেন ৫১। শেষ ১০ ওভারে ৭৯ রান তুলেছে বাংলাদেশে যুবারা।

সংগ্রহটা দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতোই। তানজিদ, তৌহিদ, শাহাদতরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতোই সেরেছেন। এখন রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ, তানজিম হাসানরা বল হাতে কতটুকু কি করতে পারেন, সেটির ওপরই নির্ভর করছে ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো শেষ চারে বাংলাদেশের যুবারা জায়গা করে নিতে পারবে কিনা।