Thank you for trying Sticky AMP!!

'জিততে হলে দুই শ ভাগ দিতে হয় বাংলাদেশকে'

আজ সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিম। ছবি: বিসিবি

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো আনন্দের স্মৃতি নেই। ২০০২ ও ২০০৮ দুই সফরেই বাংলাদেশ ফিরেছে একরাশ হতাশা নিয়ে। ক্রিকেটের কোনো সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যর্থতার এই গল্পে কি এবার বাঁক নেবে? মুশফিকুর রহিম আশার কথাই বলছেন।
পচেফস্ট্রুম টেস্ট দিয়ে কাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযান। কঠিন এই পরীক্ষায় উতরে যেতে এক শ ভাগও নয়, মুশফিকুর রহিম মনে করেন দুই শ ভাগ দিতে হবে বাংলাদেশকে। আজ সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘আমরা সেরা তিন দলের একটি নই যে যাব আর ভালো খেলে হারিয়ে দেব। আমরা নিচের দিকের দল। সবার বিপক্ষেই একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। নিজেদের একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করতে হয়। জিততে হলে বা ভালো খেলতে আমাদের দুই শ ভাগ দিতে হয়। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সফল হওয়া কতটা কঠিন, সেটা অজানা নয় মুশফিকের। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের আশার ভিত্তি গত এক বছরে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে সাফল্য। ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়াকে হারানো বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ভালো কিছু করার। মুশফিক তাই বলছেন, ‘অনেকে বলতে পারে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে ওদের হারানো অসম্ভব মনে হতে পারে। সত্যি বলতে আমার কাছে সেটা মনে হয় না। আমরা যদি নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি বিশ্বের যেকোনো দল আমাদের কাছে হারতে পারে। আগে তো দেশের মাটিতেও আমরা অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারিনি। ওদের হারাব এমন কেউ চিন্তাও করেনি। কিন্তু এটা তো হয়েছে। আমার মনে হয় না এটা অসম্ভব। যদি ভাগ্য আমাদের পক্ষে থাকে, অবশ্যই ভালো একটা টেস্ট উপহার দিতে পারব।’
প্রথম টেস্টের আগে স্বাভাবিকভাবেই এসেছে উইকেট-প্রসঙ্গ। পচেফস্ট্রুমের উইকেট কি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথাগত বাউন্সি—দ্রুতগতির হবে? মুশফিক বললেন অন্য কথা, ‘কোচ বললেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার এটা ভালো একটা সময়। আজ উইকেট দেখে মনে হলো, উইকেট একটু বেশি শুকনো। মনে হয় না, খুব বেশি মুভমেন্ট পাওয়া যাবে। আমার মনে হয়, খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। দু-তিন দিন পর হয়তো স্পিনাররা একটু সহায়তা পাবে; যা আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা ভালো শুরু করতে চাই। সেই ছন্দটা ধরে রাখতে চাই।’