Thank you for trying Sticky AMP!!

'দশে মিলেই' বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা

‘দশে মিলে করি কাজ’—এই মন্ত্র জপেই বিশ্বকাপ জিতল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯।
>

পরিসংখ্যান আস্ত এক ‘গাধা’। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটিরই প্রমাণ নতুন করে দিল বাংলাদেশের যুবারা।

২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শীর্ষ ১৫টি দলীয় ইনিংসের একটিও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নয়। সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় প্রথম ১৪ জনে বাংলাদেশের যুবাদের একজনও নেই। বোলিংয়ে অবশ্য একটু ওপরের দিকেই আছে রকিবুল হাসানের নাম। তবে ১২ উইকেট নিয়েও শীর্ষ পাঁচে জায়গা মেলেনি এই বাঁহাতি স্পিনারের। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ও ইনিংস সেরা বোলিংয়েও সবার ওপরে নেই বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়। তবু ২৪ দিনের টুর্নামেন্ট শেষে শেষ হাসিটা হাসল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলই। সবশেষে ক্রিকেটটা যে দলীয় খেলা, সেটিরই প্রমাণ দিলেন আকবর আলীরা।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান ভারতের যশস্বী জয়সোয়ালের। ঠিক ৪০০ রান করেছেন ভারতীয় ওপেনার। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১৮৪ রান নিয়ে সবার ওপরে মাহমুদুল হাসান। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া মাহমুদুল সব মিলিয়ে আছেন ১৫তম স্থানে। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাহমুদুলের পরেই আছেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও তানজীদ হাসান। দুজনই করেছেন ঠিক ১৬৬ রান করে।

১৭ উইকেট নিয়ে উইকেটশিকারিদের মধ্যে সবার ওপরে ভারতের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয়। ১২ উইকেট নিয়ে আরও তিনজনের সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠস্থানে বাংলাদেশের রকিবুল। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রকিবুলের পরেই আছেন শরিফুল ইসলাম। ৯ উইকেট নিয়ে ১৩তম স্থানে এই বাঁহাতি পেসার। এরপর ৭ উইকেট নিয়ে ১৯তম স্থানে আরেক পেসার তানজীম হাসান।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০০ রান মাহমুদুল হাসানের। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চের তালিকায় যেটি আছে আট নম্বরে। সেরা বোলিং রকিবুলের। কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন রকিবুল। টুর্নামেন্টের পঞ্চম সেরা বোলিং এটি।

ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকলেও দলীয় পরিসংখ্যানে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই শীর্ষ দুইয়েই আছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং গড় ৩৩.৬৮। অর্থাৎ প্রতি ৩৩.৬৮ রান একটি করে উইকেট খুইয়েছে আকবররা। শুধু রানার্সআপ ভারতই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ওপরে। ভারতীয়দের ব্যাটিং গড় ৪৫.২১।

বোলিংয়ে সবার ওপরে ভারত। প্রতি ১৫.৭১ রানে প্রতিপক্ষের একটি উইকেট তুলেছে ভারতীয় যুবারা। ১৭.৫২ গড় নিয়ে এরপরই বাংলাদেশের যুবারা।