Thank you for trying Sticky AMP!!

'নৈশপ্রহরী' লিচের পর ইংলিশ 'লেজে'র লড়াই

আজ দ্বিতীয় দিন সকালে লিচের ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। ছবি: এএফপি

টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য কেমন, আরেকবার বোঝা যাচ্ছে লর্ডসে। লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে নবীন টেস্ট খেলুড়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া। পরের ইনিংসেই ইংলিশদের ত্রাণকর্তা হিসেবে ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান জ্যাক লিচের ‘নৈশপ্রহরী’ হিসেবে দুর্দান্ত ওপেনার বনে যাওয়া। শেষে ইংল্যান্ডের লেজের প্রতিরোধ—লর্ডস টেস্টের পরতে পরতে রোমাঞ্চ।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আজকের আগে পর্যন্ত তাঁর ফিফটি ছিল মাত্র দুটি, ব্যাটিং গড় ১০.৯৭। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ মৌসুমে ১২ ইনিংসে তাঁর রান ৪২। লিচের ব্যাটিং গড় আর রানের অবস্থা এ রকমই হওয়ার কথা। কিন্তু এই লিচই কি না লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে নামলেন ব্যাটিং ওপেন করতে। আসলে তিনি কাল উইকেটে এসেছিলেন ‘নৈশপ্রহরী’ হিসেবে। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে তাঁর ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড।

টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একই দিনে ১১ নম্বরে আর ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন লিচ। আর এটা করতে নেমে ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত একটি সকাল উপহার দিয়েছেন। আগের দিন দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র এক ওভার ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ড। জেসন লিচ-বার্নস জুটি কোনো রান তুলতে না পারলেও ছিলেন অবিচ্ছিন্ন। দ্বিতীয় দিন ২৬ রান তুলতেই ফিরে যান ররি বার্নস। এরপর প্রায় দুই সেশন ব্যাট করেছে জেসন রয়-লিচ জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে তুলেছেন ১৪৫ রান। ইনিংস ওপেন করতে নামা প্রথম নাইটওয়াচম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করার ইতিহাস থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থেকে আউট হয়েছেন লিচ। এই রান করার পথে অবশ্য দুবার ‘জীবন’ পেয়েছেন-একবার ৭২, আরেকবার ৯২ রানে। রয় আউট হয়েছেন ৭২ রান করে। তবে এর আগেই একটি ইংলিশ রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি-অভিষেকে করেছেন ইংল্যান্ডের দ্রুততম টেস্ট ফিফটি (৪৭ বল)। এর আগে রেকর্ডটি ছিল ম্যাট প্রিয়রের। অভিষেক টেস্টে তিনি ফিফটি করেছিলেন ৫৫ বলে, ২০০৭ সালে লর্ডসে উইন্ডিজের বিপক্ষে।

রয় আউট হতেই যেন প্রথম ইনিংসের সেই ইংল্যান্ড। ১২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ২ উইকেটে ১৮২ থেকে ৫ উইকেটে ১৯৪ হয়ে যায় তাদের স্কোর। লিচের পর প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন জো ডেনলি ও জনি বেয়ারস্টো। ডেনলি ১০ রান করে ফিরলেও রান পাননি বেয়ারস্টো। ২৩৯ রানে ৭ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে আবার পথ দেখিয়েছে লেজের দিকের দুই ব্যাটসম্যান কারেন আর ব্রড। দুজনের অষ্টম উইকেট জুটি যোগ করে ৪৫ রান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ২৯৩। লিড ১৭১ রানের।