Thank you for trying Sticky AMP!!

'ফিক্সিংয়ের পেছনে বড় ভূমিকা আছে বোর্ডেরও'

পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ। ছবি: এএফপি

দুর্নীতি দমনে শুধু খেলোয়াড়দের নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। কিন্তু টেকসই কোনো পদক্ষেপ নেয় না তারা। ম্যাচ পাতানোয় খেলোয়াড়েরা জড়ালে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোর্ডেরও দায় দেখেন রশিদ লতিফ। পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটরক্ষক কাল নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথাই বলেছেন।

রশিদ লতিফ বলেন, ‘ম্যাচ পাতানোয় অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে সব সময় সমর্থন দিয়ে এসেছে বোর্ডগুলো। কিন্তু আমরা শুধু খেলোয়াড়দের দোষ নেই। হ্যাঁ তারা অভিযুক্ত, তবে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের দোষও তো আছে।’ আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ নিয়ে লতিফের ভাষ্য, ‘কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি থেকে খেলোয়াড়দের দূরে থাকার কথা বলে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। কিন্তু ক্রিকেটাররা এমন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে খেলছে যার মালিক হয়তো সেই ব্যক্তি, আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ যার থেকে দূরে থাকতে বলেছে। এটা বড় সমস্যা।’

পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক ফিক্সিংয়ের পুরো দোষ খেলোয়াড়ের কাঁধে চাপাতে রাজি নন। তাঁর ভাষায়, ‘পুরো দোষটা খেলোয়াড়কে দেব না। খেলোয়াড়েরা তো ঘুঁটি। বোর্ডের বড় কর্তারা তাদের ব্যবহার করে থাকে। ফিক্সিংয়ের পেছনে বড় ভূমিকা আছে বোর্ডেরও। বোর্ডের কোনো সদস্য এর সঙ্গে জড়িত না থাকলে খেলোয়াড়দের তারা শাস্তি দিতই। কিন্তু বোর্ডের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক কারণে যারা পদ পেয়েছেন, এর সঙ্গে তারা কোনো না কোনোভাবে জড়িত। এ কারণেই খেলোয়াড়েরা সব সময় সুরক্ষা পেয়ে আসছে।’

লতিফ যোগ করেন, ‘বিশ্বের সব জায়গার ক্রিকেট বোর্ডই খেলোয়াড়দের রক্ষা করে আসছে। ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের রক্ষা করে আসছে প্রতিটি দেশ। এ কারণে টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খুলে বলা হয়, যা করার এখানে করো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়।’