Thank you for trying Sticky AMP!!

'ভারতীয় সুবিধা' নিয়ে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

জিম্বাবুয়ে যত সহজ উইকেট পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তত সহজ উইকেট পাবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ছবি: প্রথম আলো
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হতে না হতেই দুয়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশ কজন ক্রিকেটার চলেও এসেছেন, প্রস্তুতি নিচ্ছেন চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ সফরের আগে প্রায় দেড় মাস ভারত সফরও করেছে তারা


প্রশ্নটা উঠল মূলত দুটি কারণে। প্রথম কারণ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে স্পষ্ট দেখা গেছে, হোম কন্ডিশনের সুবিধা বাংলাদেশ নিতে পারেনি। তাইজুল ইসলাম ১৮ উইকেট নিয়ে সেরা পারফর্ম করেছেন ঠিকই, কিন্তু সিলেট কিংবা মিরপুরে কোথাও স্পিনের বিপক্ষে ধুঁকতে দেখা যায়নি জিম্বাবুয়েকে। দ্বিতীয় কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত সফর করছে সেই সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে। দেড় মাসেরও মতো লম্বা সফরে এরই মধ্যে উপমহাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তো পেরেছেই। বাংলাদেশ কি পারবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম কন্ডিশনের সুযোগ নিতে?

আজ সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ অবশ্য আশাই প্রকাশ করলেন। কিন্তু তবু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর প্রস্তুতি। ২২ নভেম্বর থেকেই আবার চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু। কিন্তু এও তো সত্যি, ভারত সফরটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যও বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি হয়ে এসেছে!

মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতে দীর্ঘ দিন খেলার একটা সুফল তো পাবে, ‘অবশ্যই। যেহেতু ওরা কিছুদিন আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল। ওটা ওদের কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে।’ তবে মাহমুদউল্লাহর কথায় এই ইঙ্গিতও মিলল, জিম্বাবুয়ে যেমন উইকেট পেয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তত সহজ উইকেট পাবে না, ‘এখানকার কন্ডিশন (ভারতের চেয়ে) কিছুটা ভিন্ন। আমরা যদি আমাদের হোম কন্ডিশনটা আমাদের মতো করে নিতে পারি, তাহলে ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসতেও পারে।’

অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনের ফাঁদ পেতেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও যে তা-ই হতে যাচ্ছে, সেটা গোপন রাখার প্রয়োজনই দেখলেন না মাহমুদউল্লাহ, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে চিন্তা করব কেমন উইকেট চাচ্ছি। ওদের দলও আমাদের দেখতে হবে। আমরা সব সময় যে ধরনের স্পিন সহায়ক উইকেট করি, সেই দিকেই হয়তো আমরা যাব।’

ভারতের বিপক্ষে টেস্টে একদমই সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্পিনের বিপক্ষে ধুঁকেছে। ভারতের স্পিনত্রয়ী (কুলদীপ, অশ্বিন, জাদেজা) দুই টেস্টে নিয়েছে ২৬ উইকেট। এই পরিসংখ্যান তো বটেই, বাংলাদেশকে স্পিন সহায়ক উইকেট বানাতে প্রলুব্ধ করবে, ক্যারিবীয়দের মূল শক্তি তাদের পেস আক্রমণ বলে। নিজেদের বোলিং শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের বোলিং শক্তি খর্ব করার কৌশলও তো চাই। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের জার্ভিস-চাতারা জুটি যেভাবে ভুগিয়েছে, রোচ-গ্যাব্রিয়েলের সামনে ভুগতে চাইবে না বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ অবশ্য একটু অন্যভাবে দেখেন, ‘বিষয়টি আমি এভাবে চিন্তা করছি না। ওদের যে পেস বোলিং আছে রোচ, গ্যাব্রিয়েল সবাইকে আমরা কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজেই খেলেছি। ওই অভিজ্ঞতাটুকু আছে ওরা কেমন বোলিং করতে পারে। তা ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট এবং বাংলাদেশের উইকেট তো এক নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নিয়ে আমাদের কিছুটা চিন্তা থাকলে এই বিশ্বাসও আছে আমরা আমাদের স্কিলের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারব।’