Thank you for trying Sticky AMP!!

'ভারত খেলতেই আছে, খেলতেই আছে'

কলকাতা টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আল আমিন সবচেয়ে সফল। ছবি: এএফপি

কলকাতা টেস্ট দুই দিনেই শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। নিজেদের ইতিহাসে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট কোনোভাবে তৃতীয় দিনে টেনে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। দুই দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে গেলে বড় লজ্জাতেই পড়তে হতো। ম্যাচ তৃতীয় দিনে টেনে নিতে পারায় নিশ্চয়ই কিছুটা ‘স্বস্তি’ কাজ করছে বাংলাদেশের!

খেলোয়াড় হিসেবে আল আমিন তো আর বলতে পারেন না, ‘অবশ্যই স্বস্তির’। তিনি কলকাতা টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়কে আরেকটি ক্রিকেটীয় ঘটনা হিসেবেই দেখছেন, ‘ক্রিকেটে অনেক সময় ৬ বলে ৬ উইকেট চলে যায়। আবার হ্যাটট্রিকও হয়। ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা সেটা পরে পেরেছে।’

ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি পারেননি। পারলে দুদিনে বাংলাদেশের ১৬ উইকেট পড়ত না, দুজন ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়তেন না। আর এটা কলকাতা টেস্টেই শুধু হলো তা নয়। ইন্দোর টেস্টেও বাংলাদেশ হেরেছে খুব বাজেভাবে। ভারতের সঙ্গে কেন টেস্টে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ?

দলের প্রতিনিধি হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা আল আমিন বারবার টেস্টে নিজেদের অনভিজ্ঞতাকেই বড় করে তুললেন, ‘আমরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বেশি খেলি। এ দুই সংস্করণে অনেক ধারাবাহিক। টেস্ট ম্যাচ অনেক কম পাই। তিন মাস আগে আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট খেলেছি। ভারত সেখানে খেলতেই আছে, খেলতেই আছে। এভাবে দেখলে তো হবে না। আমাদের এ ধরনের ম্যাচ খেলার সুযোগ যত বেশি হবে তত অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং ভালো খেলতে পারব।’

কবে বাংলাদেশ অভিজ্ঞ হবে? টেস্ট ক্রিকেটে ২০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। আল আমিন বলছেন, ‘শেখার শেষ নেই। অনেক দলের ৩০-৪০ বছর লাগে। বাংলাদেশের ২০ বছর লেগে গেছে। আরও শিখবে।’