Thank you for trying Sticky AMP!!

'মহাবিশ্বের সেরা' তকমা নিয়ে মরতে চান গেইল

ক্রিস গেইল। ছবি:এএফপি
>

বিশ্বকাপ শেষেই ওয়ানডে সংস্করণ ছাড়বেন ক্রিস গেইল। রসিকতা করতে করতে ঘোষণাটা দিলেন এই ক্যারিবীয়ান

ছক্কা মারা তাঁর কাছে আমুদে ব্যাপার। বোলারকে সীমানার ওপাশে আছড়ে ফেলে তাঁর চোখে চোখ রেখে হাসতে পছন্দ করেন। কথাবার্তায়ও ভীষণ রসিক। আর তাই ক্রিস গেইলের কাছে জীবন বরাবরই উপভোগের বিষয়। এবার যেমন ওয়ানডে জীবনের শেষ দেখার আগে বলে দিলেন, ‘আমিই সর্বকালের সেরা। এবং অবশ্যই মহাবিশ্বের সেরা (ইউনিভার্স বস)। এটি নিয়েই সমাধিতে যাব।’

গেইলের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ? হ্যাঁ, ৩৯ বছর বয়সে এসে ৫০ ওভার ক্রিকেটে নিজের শেষটা দেখতে পেয়েছেন গেইল। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে প্রায় সব ধরনের রেকর্ডের এই মালিক অবশ্য আরও কিছুদিন ওয়ানডে খেলবেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর বিশ্বকাপ খেলে এই সংস্করণ ছাড়বেন গেইল। সেই ঘোষণাটাও দিলেন বেশ মজা করে। তরুণেরা একটু মজা-টজা করার সুযোগ পাক। অনেক তো হলো!

সত্যিই কালে কালে বেলা তো আর কম হলো না। দুই দশকের ওয়ানডে ক্যারিয়ার তো আর কম সময় নয়। এই সময়ে খেলা হয়ে গেছে চার-চারটি বিশ্বকাপ। শিরোপা জেতা দূরে থাক সুদিন ফেরেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে গেইল বরাবরই আপন মহিমায় উদ্ভাসিত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। এই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি। খেলতে পারেন ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তখন গেইলের বয়স হবে ৪১ বছর। কিন্তু এ নিয়ে যে তাঁর কোনো ভাবনা নেই সেটি বোঝা যাবে ইংল্যান্ডে এক শ বলের ক্রিকেট নিয়ে করা মন্তব্যে।

আগামী বছর এই সংস্করণ চালু করতে চায় ইসিবি। বরাবরই প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী গেইল এ নিয়েও মজা করতে ছাড়েননি, ‘আমি শুরু না করলে ওটা কোনো টুর্নামেন্টই হবে না। মনে হয় ইংল্যান্ড আমাকে দাওয়াত করবে। এরপর আমি সেখানে গিয়ে আলো ছড়ানোর পর বলব, এবার তরুণদের সুযোগ করে দাও। ওখানেও টুর্নামেন্টের সুর বেঁধে দেব যেভাবে দিয়েছি বিশ্বের নানা প্রান্তে।’

গেইল খুব একটা ভুল বলেননি। বিশ্বের নানা প্রান্তের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে গেইল থাকলে আলাদা উত্তেজনা কাজ করে ক্রিকেটপিপাসুদের মধ্যে। শুধু তাঁর উপস্থিতিতেই নজর কাড়তে পারে যে কোনো টুর্নামেন্ট। আইপিএল, সিপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল, ন্যাটওয়েস্ট ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলো তার সাক্ষী। ওয়ানডেতে রানসংখ্যায় ১৪তম আর সেঞ্চুরিসংখ্যায় নবম গেইল এ সংস্করণ ছাড়ার সময়ও জানিয়ে দিলেন রসিকতা ঢংয়ে, ‘হ্যাঁ, বিশ্বকাপের পর থামতে চাই। অবশ্যই ৫০ ওভারের ক্রিকেট। বিশ্বকাপই আমার শেষ। তরুণদের মজা করার সুযোগ করে দিতে চাই। মাঠের বাইরে বসে ওদের মজা লুটতে নেওয়া দেখব।’

গেইল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে বিদায় বলতে পারলে সেটি হবে মধুর সমাপ্তি। রসিকতার ছলে এই গুরুভার তিনি ছাড়লেন তরুণদের ওপর, ‘বিশ্বকাপ জিতলে সেটি হবে রুপকথার শেষ। আমার হাতে তা তুলে দেওয়ার দায় তরুণদের। আমার জন্য ওদের এটা করতে হবে, ট্রফি জিততে হবে। হ্যাঁ, সেখানে আমারও অবদান থাকবে।’

টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়েও গেইল যে তৃপ্ত সেটি বোঝা যাবে তাঁর কথায়, ‘আপনারা অসাধারণ একজনের কথা বলছেন। আমি সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। এবং অবশ্যই আমিই এখনো ইউনিভার্স বস। এটি কখনো পাল্টাবে না।’