Thank you for trying Sticky AMP!!

'হিরো' হতে চান মিরাজ

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত কিছু করে চমকে দিতে চান মিরাজ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>মোস্তাফিজ, লিটন, মোসাদ্দেক, মিঠুন, সাইফউদ্দিন, আবু জায়েদের মতো মিরাজেরও এটি প্রথম বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে ভালো করার প্রত্যয় ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের

সব প্রথমের একটা ঘোর থাকে। সেই ঘোরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্রই বিয়ে করেছেন। সংসারজীবন, নববধূ...আনকোরা এক অভিজ্ঞতা। আরেক নতুনের রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দুটি বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও আসল বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন এই প্রথম।

মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু জায়েদের মতো মিরাজেরও এটি প্রথম বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা তিনি দেখেছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছে দুবার। কিন্তু ‘আসল’ বিশ্বকাপ খেলব কবে—স্বপ্নটা দেখছেন কবে থেকে। স্বপ্নটা পূরণ হওয়ায় তাঁর মধ্যে যে সুখানুভূতি, সেটি বোঝা যায় স্পষ্ট, ‘২০১৫ বিশ্বকাপ যখন হচ্ছিল, তখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে আমাদের একটা সিরিজ ছিল। ওই সিরিজ খেলার সময়ই ভাবছিলাম, আহ, যদি একদিন খেলতে পারতাম বিশ্বকাপ। ৪ বছরের মধ্যে পূরণ হয়ে গেল স্বপ্নটা। অবশ্যই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।’

স্বপ্নপূরণ হলেই তো হবে না, ২০১৯ বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে ভালো খেলতে হবে। ইংলিশ কন্ডিশনে অফ স্পিন বোলিংয়ে সফল হওয়া কিংবা ব্যাটিংয়ে নিচের দিকে নেমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, মিরাজের চ্যালেঞ্জ যে অনেক বড়। সাহসী আর ইতিবাচক মানসিকতার মিরাজ চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন! তিনি আশা দিচ্ছেন বড় মঞ্চে আলো ছড়াবেন, ‘এ ধরনের টুর্নামেন্টে বোলার, বিশেষ করে স্পিনারদের দাপট দেখানো কঠিন। ওখানে হাই স্কোরিং উইকেট থাকে। তবে কাজ যত কঠিন, সেখানে সফল হলেও তৃপ্তিও বেশি থাকে। আমি সর্বোচ্চই চেষ্টা করব।’

ব্যাটিং অর্ডারে যেহেতু নিচে নামতে হবে, লম্বা ইনিংস খেলার সুযোগ কম থাকবে। তবে মিরাজ মনে করেন, ব্যাটিংয়েও কিছু করে দেখানোর সুযোগ থাকবে তাঁর জন্য, ‘দল আমার কাছে শেষ দিকে ২৫-৩০টি রান প্রত্যাশা করে। এখানে কিন্তু হিরো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধরুন, ৬-৭ উইকেট পড়ে গেছে, ৬০ বলে দরকার ৬০ বা ৪০ বলে ৫০, তখন যদি ভালো করতে পারি, হিরো হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে! চেষ্টা করব সুযোগ কাজে লাগাতে।’