Thank you for trying Sticky AMP!!

নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার জিমি নিশাম

বাংলাদেশ–নিউজিল্যান্ড: নিশাম বললেন, এই হার হজম করা কঠিন

এক জিমি নিশাম ৪৮, বাকি দশজনে মিলে ৮৪—এই ছিল নেপিয়ারে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের রান। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা কিউইরা মাত্র ১৩৪ রানে আটকে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ৫ উইকেটে। ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা নিশাম বলেছেন, এই হার হজম করা কঠিন।

তবে ম্যাকলিন পার্কের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে এবং পেসারদের ভালো ভবিষ্যতই দেখছেন বলেও মন্তব্য এই অলরাউন্ডারের।

কিউইদের স্বল্প পুঁজি তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে। ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসা নিশাম বলেন, ব্যাটিং–ব্যর্থতাই তাঁর দলের হারের কারণ, ‘আমাদের উইকেট পড়ার সময়টা ভালো ছিল না। বিশেষ করে যখনই মোমেন্টাম পাচ্ছিলাম, তখনই উইকেট গেছে। আমি নিজেও অসময়ে আউট হয়েছি। এই ফল হজম করাটা কঠিনই।’

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন জিমি নিশাম

নিশাম ব্যাট করতে নামার মুহূর্তে বড় বিপদেই ছিল নিউজিল্যান্ড। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান থাকাবস্থায় ৩ উইকেট হারানো দলটি চতুর্থ উইকেট হারায় ২০ রানে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের দারুণ কিছু করার তাড়নার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন নিশাম, ‘বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা ম্যাচের শুরু থেকেই খুবই প্যাশনেট ছিল। কিছু মোমেন্টামও পেয়েছে। আমাদের জন্য এটা আরেকটা দিন, যখন আরও ১৫-২০ রান বেশি করতে পারলে ম্যাচের চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত। তবে তারা ভালো খেলেছে। জয়টা তাদের প্রাপ্য।’

Also Read: শরীফুল–মেহেদীদের প্রশংসায় যা বললেন স্যান্টনার

নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে তৃতীয় ওয়ানডেতেও হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। দুটি ম্যাচেই বোলিংয়ের তুলনায় ব্যাটিংয়ে বেশি ভুগেছে তারা।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বোলারদের সামলানোর ধরনে পরিবর্তন আনা দরকার কি না, স্থানীয় সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে শরীফুল-মোস্তাফিজ-তানজিমদের প্রশংসাই ঝরেছে নিশামের কণ্ঠে, ‘প্রথমত, এখানে কন্ডিশনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, বল বেশ ভালো রকম ঘুরেছে। বিশেষ করে আজকের প্রথম ৬ ওভারে এবং ওয়ানডের প্রথম ১০ ওভারে। যেটা সাধারণত নিউজিল্যান্ডে দেখা যায় না। এটা নিয়ে আমাদের কথা বলা দরকার। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এমন ভালো মানের কিছু পেসার পেয়েছে, যাদের নিয়ে তারা ভরসা করতে পারে। ওরা যদি এভাবে উন্নতি করতে থাকে, ভবিষ্যতে বিদেশের মাটিতে সাফল্য না পাওয়ার আমি কোনো কারণ দেখি না।’

Also Read: এক বছর পর ফিরেই সেরা মেহেদীর তৃপ্তি ‘স্মার্ট’ বোলিংয়ে