Thank you for trying Sticky AMP!!

আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং ছাড়ার ঘোষণা এরাসমাসের

দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্বে পেয়েছিলেন। মেলবোর্নে ২০১৫ ফাইনালে ছিলেন টিভি আম্পায়ার, চার বছর পর লর্ডসে ‘বেয়ারেস্ট অব অল মার্জিনস’-এর ফাইনালে ছিলেন মাঠেই। তিনবার আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতিও পেয়েছেন মারাইস এরাসমাস।

কিন্তু যদি কেউ প্রশ্ন করেন, এরাসমাসের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ কোনটি? তাহলে বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী হয়তো ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কথা বলবেন। সাকিব আল হাসানের আবেদনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে তো টাইমড আউট দিয়েছিলেন এরাসমাসই। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এমন আউট দেওয়া এরাসমাস এবার আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংকেই বিদায় বলে দিলেন। আজ ভোরে ওয়েলিংটনে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্টই হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর শেষ ম্যাচ।

এরাসমাস আম্পায়ারিং থেকে অবসরের কথা জানিয়েছেন ক্রিকেট–বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে। ৬০ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা আমি গত বছরের অক্টোবরে নিয়েছি। আইসিসিকে সেটা জানিয়েও দিয়েছি যে এপ্রিলে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর থাকছি না।’

সাকিবের আবেদনে ম্যাথুসকে টাইমড আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার এরাসমাস

২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ সালে আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার (ডেভিড শেফার্ড ট্রফি) জেতেন এরাসমাস। পেশাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং, তা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘এ কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত জানানোর মুহূর্তে। এটা সব সময় কঠিন এবং বিশেষ ব্যাপার। কাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে আনন্দ লাগে।’

২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হয় এরাসমাসের। গত দেড় যুগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৭৮ ম্যাচ (১২৫ টেস্ট, ১৯২ ওয়ানডে, ৬১ টি-টোয়েন্টি) পরিচালনা করেছেন তিনি। মেয়েদের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ৭৯টি। ২০১০ সালে স্বদেশি আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেন অবসর নিলে তাঁর জায়গায় আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত হন।

Also Read: ৫৬-তেই চলে গেলেন মিলার-ঝড়ের সেই ম্যাচের আম্পায়ার

আম্পায়ারিং শুরুর আগে পুরোদস্তুর খেলোয়াড় ছিলেন এরাসমাস। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক দল বোল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৫৩টি প্রথম শ্রেণির ও ৫৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ।
এরাসমাসের অবসরে আইসিসি এলিট প্যানেলে আম্পায়ারের সংখ্যা কমে হলো ১১। একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে রয়ে গেলেন অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক।

২০১০ সালে পদোন্নতি পেয়ে আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার হন এরাসমাস

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আম্পায়ারিং ছেড়ে দিলেও কিছুদিন বিরতির পর ঘরোয়া ক্রিকেটে চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন এরাসমাস, ‘প্রথম দুই মাস আমি শীতকালীন ছুটি কাটাব। আমরা দেশের মধ্যেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করে রেখেছি। সেপ্টেম্বর থেকে আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) অধীন চলে যাব। তারা আমাকে কীভাবে ব্যবহার করবে, সেটা চূড়ান্ত করতে হবে। পরবর্তী মৌসুমে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করব এবং একই সঙ্গে পরামর্শকের ভূমিকা পালন করব। আমি খায়া মাজোলা উইকে (সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত একটি স্কুলের অনুষ্ঠান) অথবা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে যেতে পারি। সেখানে আমি খেলা দেখব এবং আম্পায়ারদের পরামর্শ দেব।’

Also Read: এরাসমাসকে তামিম: দেখা হবে পোর্ট এলিজাবেথে