টি-টোয়েন্টিতে এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ।
যে সংস্করণটা বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ খেলত বলে মনে করা হতো, সেই সংস্করণেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদেরই ধবলধোলাই! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩–০ ব্যবধানে এই সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই অন্যতম বড় অর্জন। যাঁর নেতৃত্বে এই অর্জন, সেই সাকিব আল হাসানের চোখ আগামী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় এ সিরিজ থেকেই বাংলাদেশ অধিনায়ক খুঁজে নিচ্ছেন বিশ্বকাপের ভালো খেলার রসদ।
তিনটি ম্যাচেই ব্যাটে–বলে দুর্দান্ত বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষকে হারানোরগল্প। আজ ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে ব্যাটিংটা হয়েছে দারুণ। লিটন দাস ফর্মে ফিরে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো স্কোর গড়তে রেখেছেন বড় ভূমিকা। বল হাতে ইংল্যান্ডকে ঠেকিয়ে রাখতে ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করেছেন বোলাররাই। মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদরা প্রয়োজনীয় সময়ে জ্বলে উঠেছেন।
Also Read: সিরিজের শেষ ম্যাচটা যেভাবে জিতল বাংলাদেশ
মোটকথা সিরিজটা যেন টি–টোয়েন্টি সংস্করণে অন্য এক বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন। এই ব্যাপারটিই দারুণ লাগছে সাকিবের, ‘এই টি–টোয়েন্টি সিরিজে আমরা খুবই ভালো করেছি। আমরা ভালো ফিল্ডিং করেছি, বোলিং করেছি দারুণ, ব্যাটসম্যানরাও ছিল দুর্দান্ত। এই জায়গা থেকে আমরা আগামী বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একটা ভালো দল গড়তে চাই।’
Also Read: বিশ্বকাপের রসদ পেয়ে গেছেন সাকিব
নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করেই এই জয় বলে জানালেন সাকিব, ‘উইকেট খুব সহজ ছিল না। এই উইকেটেই আমাদের ব্যাটিংটা আজ ভালো হয়েছে। লিটন ও নাজমুলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমাদের সংগ্রহ ঠিকই ছিল। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করেই এগোতে হতো। আমরা সেটিই করেছি।’
Also Read: চরিত্র বদলে টি–টোয়েন্টিতে লিটনের সর্বোচ্চ
মোস্তাফিজুর রহমানের করা ১৪তম ওভারে পরপর দুই বলে ফেরেন দুই সেট ব্যাটসম্যান ডেভিড ম্যালান ও জস বাটলার। প্রথমে মোস্তাফিজের বলে ৪৭ বলে ৫৩ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ম্যালান। পরের বলেই বাটলার হন রান আউট। সাকিব মনে করেন ওই দুটি বলই ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘ওই ওভারটিতে পরপর দুই বলে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফেরানোতেই ম্যাচ বদলে গেলে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি আমাদের হাতে চলে আসে।’
Also Read: টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট মোস্তাফিজের